আপনজন ডেস্ক: অনেকেই জানেন না, তবে নিউমোনিয়া হল এক ধরনের ফুসফুসের প্রদাহ। মানবদেহের ফুসফুসের আলভিওলি বা ছোট ছোট বায়ু থলিতে জীবাণুর সংক্রমণের ফলে এই প্রদাহের সৃষ্টি হয়। ফুসফুসের বায়ু থলিতে তরল বা কফ দিয়ে পূর্ণ হওয়ার ফলে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর এবং কাশি (প্রায়শই কফ সহ) এর মতো উপসর্গ দেখা দেয়। নিউমোনিয়ার জীবাণু সাধারণত মানুষের ফুসফুস এবং শ্বাসতন্ত্রকে আক্রান্ত করে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস এবং টিবি'র জীবাণুর মাধ্যমে নিউমোনিয়া ছড়ায়। নিউমোনিয়া দুই ধরণের। ১. ভাইরাল নিউমোনিয়া ও ২. ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া। এই ভাইরাল নিউমোনিয়া হল সবচেয়ে সাধারণ ধরন। ভাইরাসের আক্রমণে এই ধরনের নিউমোনিয়া হয়ে থাকে। সাধারণত শিশু এবং বয়স্করা এতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়ার চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। সর্দি বা ফ্লু হওয়ার পড়ে নিজে থেকে এই ধরনের সংক্রমণ হয়ে থাকে। দ্রুত হৃৎস্পন্দন, শ্বাসকষ্ট, কফসহ কাশি, দুর্বল বা অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করা, ঠান্ডা লাগা বা সর্দি, বুকে ব্যথা, বিশেষ করে শ্বাস নেওয়ার সময়, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া আসলে নিউমিনিয়ার লক্ষণ।সাধারণত বেশীরভাগ নিউমোনিয়া প্রাথমিক চিকিৎসায় সেরে উঠে। কিছু ঘরোয়া প্রতিকারে নিউমোনিয়া সেরে যায়। প্রাথমিকভাবে হালকা গরম জলে লবণ দিয়ে গার্গল করা গলার কিছু শ্লেষ্মা বা কফ অপসারণ করতে সাহায্য করে এবং ব্যথা বা জ্বালাপোড়া ভাব উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। পিপারমিন্ট জ্বালা উপশম করতে এবং কফ বের করে দিতেও সাহায্য করে। এটি একটি কার্যকর ডিকনজেস্ট্যান্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং ব্যথানাশক উপাদান। তাই চায়ের সাথে পুদিনা পাতা মিশিয়ে খাওয়া যায় অথবা পিপারমিন্টের ঘ্রাণ নিয়েও কিছুটা কষ্ট লাঘব করা যায়। এছাড়া কফি পানের পাশাপাশি অআদা চাও খেতে পারেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা মারাত্মক পর্যায়ে রূপ নেয়। তাই দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ভালো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct