আরবাজ মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: চায়ের দোকানে দিদিয়া জেলার কালিগঞ্জ থানার বড় চাঁদ ঘর গ্রাম থেকে রামিজ রাজা সেখ ডব্লিউবিএস ২০২১ (এক্সি) পরীক্ষায় এ ক্যাটাগুড়িতে সফল ভাবে পাস করেছেন। রাজ্যে তার এনকিং ১৮ ফলে এবার বিডিও চাকরি পাকা দিনমজুর থেকে এবার বিডিও ২০২১ সালে প্রাইমারি স্কুলে পায় এতদিন ধরে সেই চাকরি করছিলেন। কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল আরো বড় চাকরি, বিডিও হওয়ার। তার জন্য রাত দিন ধরে পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে রামিজ রাজা শেষ মেষ এলো তার সাফল্য। সাফল্য খবর পেয়ে এলাকার বিভিন্ন বিশিষ্টজনেরা তাকে ফুলের তোরা দিয়ে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন। এলকার ক্লাব থেকে শুরু করে যুকরা তাকে সম্বর্ধনা দেয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নুরুজ্জামান শেখ বলেন, রামিজ রাজা খুব মেধাবী ছাত্র ছিল খুব সহজ সরল তার জীবনযাপন। তার বাবা-মাও মাটির মানুষ। বাবার চায়ে দোকান চালিয়ে কোন রকম সংসার চালাতো। তার এই সাফল্য খুব গোটা এলাকার লোকজন।
রামিজ রাজার মা বলেন, আমার ছেলে খুব কষ্ট করে পড়াশোনা করছে অনেক রাত জেগে পড়াশোনা করছে জীবনে অনেক কষ্ট করে আজ তার সাফল্য অর্জন করেছে। আমার মতো একটা চায়ের দোকানে উপার্জন করে সংসার চালিয়ে আজ আমার ছেলে বিডিও হয়েছে খুব খুশি আমি এবং আনন্দিত।সেই সঙ্গে সরকার সহযোগিতা করেছে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার থেকে অনুদান পেয়েছে সরকার থেকে অনুদান না পেলে হয়তো আমার ছেলে আগাতে পারতো না। আমার মতো পরিবারে থেকে বিডিও হতে পারছে, এর আনন্দ আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। সকল পরিবার লোকজন বলছি এভাবে চেষ্টা করলে অনেক আগিয়ে যেতে পারবে। রামিজ রাজা বলেন, প্রথম বড় চাঁদ ঘর স্কুলে থেকে মাধ্যমিক পাশ করার পরে আল-আমীন মিশন থেকে বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি হন। বহরমপুর কলেজ থেকে অনার্স নিয়ে উত্তীর্ণ হয়। ২০২০ সালে বিএড সম্পূর্ণকরি। ডব্লিউবিসিএস প্রিলিতে উত্তীর্ণ। আল আমীন মিশনে কোচিং নিয়েছি। বাবার ছোট চায়ের দোকান চালিয়ে কিই বা রোজগার হয়। তাই কখনো টিউশনি, কখনো দুই ভাই মিলে মাঠে চাষের কাজ করেছি। আজ সব থেকে বেশি খুশি হয়েছে আমার বাবা মা, তারা অনেক কষ্ট করছে। আমার আব্বা মায়ে অসম্ভব পরিশ্রম রয়েছে। আমি চাই আমাদের ব্লক থেকে বা জেলা থেকে আরো বড় জায়গা চাকরি করতে পারি যাতে আমাদের গ্রাম নাম উজ্জ্বল করতে পারি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct