আপনজন ডেস্ক: গবেষকরা বলছে, খাবারের তালিকায় বাড়তি লবণ যোগ না করলে হৃদ্রোগ ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমতে পারে। খাবারে বাড়তি লবণ যোগ করার কারণে হৃদ্রোগ ও অকালমৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। লবণের পরিমাণ কমিয়ে এনে বা লবণ একেবারে যোগ না করার মাধ্যমে হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষা হতে পারে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, খাবারে যারা কখনো বাড়তি লবণ যোগ করেন না তাঁদের হৃৎস্পন্দনের গতি অস্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় ১৮ শতাংশ কম। এ ধরনের হৃদ্রোগে অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন বা এএফ বলে। গত এক দশকে যুক্তরাজ্যে এ রোগ ৫০ শতাংশ বেড়ে ১৫ লাখে পৌঁছেছে। এএফের কারণে হৃৎস্পন্দনের গতি অনিয়মিত বা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেশি হয়ে যেতে পারে। এতে মাথা ঘোরানো, শ্বাসকষ্ট ও ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। এএফে আক্রান্তদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা পাঁচগুণ বেশি। দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ুংপুক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ড. য়ুন জাং পার্ক বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় পাওয়া তথ্য অনুসারে, খাবারে কম লবণ মেশালে এএফে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।’২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ৪০ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫ লাখ মানুষের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। যারা আগে থেকে এএফ, করোনারি আর্টারি রোগ, হৃদ্রোগ বা স্ট্রোকে আক্রান্ত তাঁরা গবেষণার আওতার বাইরে। জরিপের আওতায় প্রত্যেককে কাঁচা লবণ খাওয়ার পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়। এক্ষেত্রে চারটি ক্যাটাগরিতে- কতটা ঘনঘন খাওয়া হয়, কখনো না, মাঝেমধ্যে, প্রায়ই, সব সময়- উত্তর জানতে চাওয়া হয়। লবণ খাওয়ার অভ্যাস তাঁদের ওপর কেমন প্রভাব ফেলছে তা জানতে গবেষকেরা ১১ বছর ধরে তাঁদের পর্যবেক্ষণ করেছেন। যারা খাবারে সব সময় লবণ ব্যবহার করেন, তাঁদের তুলনায় যারা খাবারে কখনো বাড়তি লবণ ব্যবহার করেন না তাঁদের এএফে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ১৮ শতাংশ কম পাওয়া গেছে। যারা মাঝেমধ্যে বাড়তি লবণ খেতেন তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ১৫ শতাংশ কম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct