আপনজন ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপের আগে আলোচনাটা বেশ শোনা যাচ্ছিল—এটাই হবে লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারে শেষ বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর অনেকেই আবার মনে করেছিলেন—আন্তর্জাতিক ফুটবলকে হয়তো এখানেই ইতি বলে দেবেন মেসি।কিন্তু মেসি আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেননি, আর্জেন্টিনার তিন তারকা জার্সি গায়ে খেলে যাচ্ছেন তিনি। শুরু হচ্ছে আরেকটি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। ৮ ও ১৩ সেপ্টেম্বর ইকুয়েডর ও বলিভিয়ার বিপক্ষে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচেও খেলার কথা মেসির।বাছাইপর্বের এ ম্যাচ দুটির আগে আরেকবার উঠেছে পুরোনো একটি আলোচনা—মেসি কি ২০২৬ সালে কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে খেলবেন! কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনা অধিনায়কের ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রথম উঠেছিল এই আলোচনা।
কাতার বিশ্বকাপের পর প্রশ্নটি করা হয়েছিল আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিকে। তিনি এই প্রশ্নের উত্তরে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। শুধু বলেছেন, মেসি এখনো আর্জেন্টিনার হয়ে খেলছেন। তাঁকে এখনো আর্জেন্টিনা দলের প্রয়োজন। ফিট থাকলে হয়তো পরের বিশ্বকাপেও দেখা যেতে পারে তাঁকে!কিন্তু মেসির সাবেক সতীর্থ কার্লোস তেভেজ তেমনটা মনে করেন না। আর্জেন্টিনার সাবেক এই ফরোয়ার্ড মনে করেন, মেসি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন না। আর্জেন্টিনা ক্লাব ইন্দেপেন্দিয়েন্তের কোচ তেভেজ এমনটা কেন মনে করেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।মেসির ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা নিয়ে তেভেজ বলেছেন, ‘আমি এটা মনে করি না। বিশ্বকাপ এগিয়ে আসতে থাকলে সে বুঝতে পারবে যে জিনিসগুলো আর আগের মতো নেই। সে যদি বিশ্বকাপে খেলে, তাহলে তার কাছে মানুষের চাহিদা থাকবে ২০ বছর বয়সী খেলোয়াড়ের মতোই। আমি মনে করি, এ কারণেই সে খেলবে না।’মেসির যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে যাওয়া নিয়েও কথা বলেছেন তেভেজ। সেখানে মেসি সুখে আছেন বলে ভালো লাগছে তাঁর, ‘লিও সুখে আছে আর এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটা সে গোল করেই বুঝিয়ে দিচ্ছে। পরিবার নিয়ে মেসি মায়ামিতে সুখে আছে। পরিবার ও ফুটবলকে একীভূত করার আনন্দটা সে উপভোগ করছে।’পিএসজিতে যে বিষয় পুরো উল্টো ছিল, তেভেজ বলেছেন সেটাও, ‘আমি তাকে খুব ভালোভাবে চিনি। আমি জানি যে গত দুই বছর সে প্যারিসে অনেক ভুগেছে। তার পরিবারও অনেক ভুগেছে। সে এখন যে বয়সে আছে, এখানে অন্য সবকিছুর চেয়ে পরিবারই আগে আসে।’মেসিকে নিয়ে কথা বলবেন আর ডিয়েগো ম্যারাডোনার প্রসঙ্গে আসবে না, সেটা কী করে হয়! মেসি-ম্যারাডোনার তুলনা করতে বলা হয়েছিল তেভেজকে। তিনি দুজনকে এক কাতারেই রাখলেন, ‘মানুষের জানা নেই, লিওকে নিয়ে আমি কী বলতে পারি? সে ডিয়েগোরই মতো। তারা দুজনেই অন্য জগতের ফুটবল খেলে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct