রঙ্গিলা খাতুন, বহরমপুর, আপনজন: “বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ। তাই ফাঁসি ভিন্ন দ্বিতীয় কোনও সাজা দেওয়া যেতে পারে না।’ মন্তব্য বহরমপুর জেলা আদালতের বিচারকের। নজরে বহরমপুরের কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরীর খুনের মামলা। আসলে ঘটেছিল সেদিন? গত বছর মে মাসের ঘটনা হাড় হিম করে দিয়েছিল দুঁদে পুলিশ আধিকারিকদের। প্রাথমিক ভাবে উঠে এসেছিল, প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় সুতপা চৌধুরীকে নারকীয়ভাবে কুপিয়ে খুন করে সুশান্ত। ঘটনার দিন রাতেই গ্রেফতার করা হয় সুশান্তকে। ঘটনাটি ঘটেছিল বহরমপুরের গোরাবাজারের একটি মেসের সামনে। সেখানেই থাকতেন বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী। পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছিল, মালদার ইংরেজবাজারের বাসিন্দা সুতপার সঙ্গে পুখুরিয়ার বাসিন্দা সুশান্ত চৌধুরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ২ মে ঘটনার দিন, সন্ধে নাগাদ শহিদ সূর্য সেন রোড দিয়ে মেসে ফিরছিলেন বহরমপুর গার্লস কলেজের প্রাণীবিদ্যার তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা। সেই সময়েই ঘটনাটি ঘটান তাঁর প্রেমিক। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে, তাঁকে অনুসরণ করছে সুশান্ত! তার পর, সুযোগ বুঝে মেসের দরজার সামনেই তরুণীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। এরপর অভিযুক্তকে জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছিল, সুতপাকে খুন করে পালানোর পথ আগেই তৈরি করে রেখেছিল সুশান্ত। এলাকার একটি বাড়ির পাঁচিলে লাগানো পেরেক বাঁকিয়ে রেখেছিল সে। খুনের পর ওই জায়গা দিয়েই পাঁচিল টপকে পালায় সুশান্ত। এরপরেই কার্যত তোলপাড় ফেলে দেয় ছাত্রীখুনের হাড় হিম করা হত্যাকাণ্ড। গোটা ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করে সুশান্তকে ফাঁসির সাজা শোনান বিচারক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct