নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: একেই বলে ভাগ্যের খেলা।তৃনমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিন প্রকল্পের সুপারভাইজার পদে ছিলেন বাবা। গত পাঁচ বছর কোনো কাজ করার সুযোগ পাননি অসহায় বাবা। আজ সেই অসহায় বাবার মেয়ে হলেন পঞ্চায়েত প্রধান। খুশির হাওয়া পরিবারে। মেয়ের পাশে দাঁড়িয়ে করজোড়ে অনুরোধ বাবার,আগামী পাঁচ বছর যাতে তার মেয়ের গায়ে কোনোরকম দুর্নীতির ছায়া না পড়ে এবং ব্লকের মধ্যে দুর্নীতিমুক্ত সেরা পঞ্চায়েত গড়ে তুলতে পারেন তা তিনি আবেগঘন কণ্ঠে সকলকে জানান।জানা যায়, পঞ্চায়েত গঠনের ৯ দিন পর প্রশাসনিকভাবে মঙ্গলবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নব নির্বাচিত প্রধান মৌসুমী দাসকে প্রধান পদের ভার দায়িত্ব তুলে দেন বিদায়ী প্রধান জৈনব নেশা ও পঞ্চায়েত আধিকারিকগণ। উল্লেখ্য, ২০ আসন বিশিষ্ট মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃনমূল ৯ টি,বাম কংগ্রেস জোট ১০ টিও নির্দল ১ টি আসনে জয়লাভ করেন। চলতি মাসের ১৯ তারিখে বাম কংগ্রেস জোট নির্দলকে নিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করেন।প্রধান করা হয় সিপিআইএম এর মৌসুমী দাস ও উপ প্রধান করা হয় নির্দল এর জুল মহম্মদকে।নব নির্বাচিত প্রধান মৌসুমী দাস প্রধানের আসন গ্রহণ করে বলেন,আগামী পাঁচ বছর স্বচ্ছতার সঙ্গে সকলকে নিয়ে পঞ্চায়েত চালাবেন।সব সময় জনগণের পাশে থাকবেন।প্রধান মৌসুমী দাসের বাবা বীরেন্দ্র নাথ দাস জানান, তিনি এই গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের প্রকল্পে সুপারভাইজার ছিলেন।তৃনমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত হওয়ার কারণে সুপারভাইজার এর কোন কাজ পাননি তিনি।এর পর তিনি সুপারভাইজার ছেড়ে পঞ্চায়েতে সিএফ এর কাজে যুক্ত হন।বর্তমানে তিনি একজন পঞ্চায়েত সিএফ কর্মী।তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে।মৌসুমী বড় মেয়ে।তার মেয়ে প্রধান হয়েছে এতে তিনি প্রচন্ড খুশি। তবে তৃনমূল গত পাঁচ বছর সেভাবে তাদেরকে বঞ্চিত রেখে পঞ্চায়েত চালিয়েছে,সেই ব্যবহার তারা কখনো করবেন না।মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুল সুভান জানান,আগামী পাঁচ বছর স্বচ্ছতার সঙ্গেই পঞ্চায়েত চালাবেন।কোনরকম দুর্নীতির আচর পর্যন্ত লাগতে দিবেন না প্রধান ও বাম কংগ্রেস জোটের মেম্বারদের গায়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct