আপনজন ডেস্ক: কেন্দ্র মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে যে জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা কোনও “স্থায়ী বিষয়” নয় এবং তারা ৩১ আগস্ট আদালতে বিতর্কিত রাজনৈতিক ইস্যুতে একটি বিস্তৃত বিবৃতি দেবে।প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের শুনানির পর সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিক্রিয়া জানান। মেহতা বলেন,জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা কোনও স্থায়ী বিষয় নয়। লাদাখের ক্ষেত্রে, এর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা কিছু সময়ের জন্য থাকবে। বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল, সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্যকান্তের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের সামনে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভবিষ্যত নিয়ে বিস্তারিত বিবৃতি দেবেন তিনি। প্রাক্তন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিল এবং এর পুনর্গঠনের কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে মেহতার বক্তব্য শোনার সময় বেঞ্চ বলে, “গণতন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ, যদিও আমরা একমত যে জাতীয় নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে রাজ্যের পুনর্গঠন করা যেতে পারে। তবে আদালত বলেছে, নির্বাচনী গণতন্ত্রের অভাব অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে দেওয়া যায় না। এর অবসান হওয়া উচিত।আপনি কখন প্রকৃত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবেন সে সম্পর্কে আমাদের নির্দিষ্ট সময়সীমা দিন। আমরা এটি রেকর্ড করতে চাই। মেহতা এবং অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানিকে রাজনৈতিক কার্যনির্বাহীর কাছ থেকে নির্দেশ নিতে এবং আদালতে ফিরে যেতে বলে বেঞ্চ। উল্লেখ্য, সোমবারের শুনানিতে আদালত ৩৭০ ধারাকে নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘনকারী একটি অনুচ্ছেদ বলে বর্ণনা করেছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ সংবিধানের ৩৭০ ধারার অধীনে বিশেষ সুবিধা পেয়েছে, কিন্তু এই অনুচ্ছেদের কারণে দেশের মানুষের তিনটি মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই অনুচ্ছেদের কারণে কাশ্মীরে অন্যান্য রাজ্যের লোকদের চাকরি পাওয়া, জমি কেনা এবং বসতি স্থাপনের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। সলিসিটর তুষার মেহতা বলেছিলেন, ৩৭০ ধারা কার্যকর হওয়ায় জম্মু ও কাশ্মীরে কেন্দ্রের অনেক আইন প্রয়োগ করা যায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct