আপনজন ডেস্ক: ভ্লগ, বর্তমান সময়ের পরিচিত শব্দ। অডিও এর পাশাপাশি ভিজুয়াল মাধ্যমে ব্লগিং করার সংক্ষিপ্ত রূপই হচ্ছে ভ্লগ। প্রতিদিন নতুন ভ্লগ চ্যানেল তৈরি হচ্ছে। যদি বিশ্বের কাছে শেয়ার করার মতো কিছু থাকে, তাহলে আপনার বার্তাটি দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভ্লগিং একটি দুর্দান্ত উপায়। যারা ভ্লগিং করেন তাদের বলা হয় ভ্লগার। ভ্লগিং দুনিয়ায় যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আজ পরিচয় করিয়ে দেবো এমন সব ভ্লগিং গিয়ারের সঙ্গে যা দিয়ে সহজেই ভ্লগ তৈরি করা যাবে। আপনি যদি ভ্লগ শুরু করার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে দ্রুত এবং দুর্দান্ত ভিডিও শ্যুট শুরু করতে অনুসরণীয় এমন কয়েকটি সহজ টিপস আছে। এখণ ভাবছেন কীভাবে শুরু করবেন? আত্মবিশ্বাস হলো সাফল্যের চাবিকাঠি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কনটেন্ট 'বিক্রয়' করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল আপনি যা জানেন তার সঙ্গে লেগে থাকা। যারা এরইমধ্যে সাফল্য অর্জন করেছেন তারা একই বিষয়ের ওপর জ্ঞান অর্জন করেছেন, প্রচুর সময় ব্যয় করেছেন। অর্জনের পাশাপাশি দর্শকদের সঙ্গে যথেষ্ট সময় ব্যয় করেছেন। আপনার প্রথম ব্লগ বানানোর আগে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করুন এবং নির্ধারণ করুন আপনার চ্যানেলটি কোন বিষয়ের উপর কাজ করবে। এটি হতে পারে ফিটনেস, রান্না, ভ্রমণ, বা প্যারেন্টিং- এমন কিছু বেছে নিন যা সম্পর্কে আপনি নিজে উৎসাহী এবং যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে৷ একবার মূল বিষয়বস্তুর ধারণা পেয়ে গেলে, চিন্তা করুন অন্যদের থেকে কীভাবে আপনি আপনার চ্যানেলটিকে বিশেষ করে তুলবেন।
কী বিষয়ে ভ্লগ বানাতে চান তা একবার নির্ধারণ করা হয় গেলে, কাদের জন্য ভ্লগ বানাতে চান তা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। অর্থাৎ 'টার্গেট অডিয়েন্স' নির্ধারণ করতে হবে। নির্মিত কনটেন্ট আপনার কাঙ্ক্ষিত দর্শকদের কাছে আবেদনময়ী করতে হবে। আপনি যখন ভ্লগ ধারনা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন, তখন বিশ্লেষণ করুন কে আপনার বিষয়বস্তুতে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। এটি একটি নির্দিষ্ট বয়সীদের জন্য হতে পারে, চাকরি প্রার্থীদের জন্য হতে পারে, নতুন মা হয়েছেন তাদের জন্য হতে পারে, অথবা স্বাস্থ্য বা ইয়োগা বিষয়কও হতে পারে। আপনার টার্গেট অডিয়েন্স প্রাপ্তির জন্য, তাদের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য কণ্ঠস্বর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাই উপযুক্ত কণ্ঠস্বর বিকাশের জন্য আপনাকে শ্রম দিতে হবে। কারণ আপনার কণ্ঠই দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম। দর্শক আকৃষ্ট হবেন এমন কিছুতে যা তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং তার কথা বলে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, অল্প বয়স্ক দর্শক এমন বিষয়বস্তু পছন্দ করতে পারে যা শান্ত এবং মজাদার, যারা চাকরি খুঁজছেন তাদের জন্য অনুপ্রাণিত দীপ্ত কণ্ঠস্বর। অর্থাৎ আপনি যা কিছুই নিয়ে ভ্লগ তৈরি করেন না কেন, টার্গেট অডিয়েন্সের সঙ্গে সেই সুরের কথা বলুন যেন তিনি আপনার সামনে বসে আছেন। কাজ শুরুর আগে একটি মৌলিক রূপরেখা তৈরি করে নিতে পারেন। যে বিষয়ের ওপর কনটেন্ট নির্মাণ করতে চান তা যদি আগে থেকেই 'ফ্রেম ওয়ার্ক' করা থাকে তাহলে ভ্লগ তার নিজস্ব গতিপথেই থাকবে। ক্যামেরা ঘুরানোর ক্ষেত্রে খুব বেশি গভীরে না গিয়ে তথ্য প্রদানে মনোযোগ দেওয়া শ্রেয়। একটি ভ্লগের ক্ষেত্রে 'ভিডিও' এবং 'অডিও' ভ্লগের দুটি অংশ মাত্র। এতেই কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যায় না। ভ্লগ এডিট, মিউজিক, সাবটাইটেল যোগ করা ভ্লগের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাছাড়া প্রথম স্থানে ভিডিওতে ক্লিক করতে তাদের উৎসাহিত করতে টাইটেল এবং নজরকাড়া থাম্বনেল যোগ করতে সময় ব্যয় করা উচিত। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনেক ভিডিওর সঙ্গে, আপনার সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (এসইও) প্রচেষ্টা একটি ভাল ধারণা। যখন ভিডিও আপলোড করা হবে, তখন শিরোনাম এবং বিবরণে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা আপনার কাঙ্ক্ষিত দর্শকের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। আপনার ভিডিও এবং অডিও কোয়ালিটি যদি খুব ভালো না হয় তাহলে দর্শক আপনার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে সহজেই। তাই প্রয়োজন ভালো মানের ক্যামেরা গিয়ার। এটি চটকদার বা খুব ব্যয়বহুল হওয়ার দরকার নেই। তবে, এমন বিষয়বস্তু যেন সহজে শোনা এবং বোঝা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একটি মিনি ট্রাভেল ট্রাইপড, ভালো মানের ক্যামেরা, এক্সট্রা মাইক্রোফোন ও লাইটিং সিস্টেম সঙ্গে রাখা জরুরি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct