আপনজন ডেস্ক: অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় । সেরিয়াল, প্রোটিন বার, কোমল পানীয়, তৈরি খাবার ও ফাস্ট ফুডের মতো অতি প্রক্রিয়াজাত খাবারের আইটেমের চাহিদা বিশ্বব্যাপী আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। সে দিক থেকে এসব খাবারের ঝুঁকিও বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার সরাসরি মানব দেহের ক্ষতি করে। বিশ্বের বৃহত্তম হার্ট কনফারেন্সে উপস্থাপন করা দুটি গবেষণাপত্রে বলা হয়, এ ধরনের খাবার কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের ওপর অতিমাত্রায় প্রভাব ফেলছে। প্রথম সমীক্ষায় ১৫ বছর ধরে ১০ হাজার মহিলার স্বাস্থ্যতথ্য অনুসরণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, যাদের ডায়েটে অতি প্রক্রিয়াজাত খাবারের সর্বোচ্চ অনুপাত রয়েছে তাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেশি। অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার কম গ্রহণকারীদের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি। লবণ, চিনি ও চর্বির প্রভাব বিবেচনার পরও ঝুঁকি বেশি ছিল। অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ধমনীর সমস্যা, কিডনি রোগ ও ভাসকুলার ডিমেনশিয়াসহ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। দ্বিতীয় সমীক্ষায় অংশ নেন সোয়া তিন লাখের বেশি পুরুষ ও নারী। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণেদেখা যায়, সবচেয়ে বেশি অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণকারীদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও এনজিনাসহ কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকি ২৪ শতাংশ বেশি। চীনের জিয়ানের সামরিক মেডিকেল ইউনিভার্সিটির গবেষণা অনুসারে, যাদের খাদ্যে অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিমাণ ১৫ শতাংশের কম তাদের হার্টের ঝুঁকিও কম। আমস্টারডামে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজির বার্ষিক সভায় এ গবেষণা ফলাফলগুলো প্রকাশ হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের হাজার হাজার নেতৃস্থানীয় হৃদরোগ চিকিৎসক, বিজ্ঞানী ও গবেষক। অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার হলো এমন খাদ্যপণ্য যা উৎপাদনের সময় একাধিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। এতে লবণ ও চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। যোগ করা হয় স্বাদবর্ধক ও দীর্ঘদিন সংরক্ষণ রাখার মতো উপাদান। প্রায়শই এসব খাবারে অতিপ্রয়োজনীয় ফাইবার ও তাজা বা ন্যূনতম প্রক্রিয়াজাত খাবারের তুলনায় পুষ্টির অভাব থাকে। তাই এটা মানব শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct