আপনজন ডেস্ক: উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের কায়সারবাগ এলাকার গান্ধি ভবনে অনুষ্ঠিত শান্তি ও ন্যায়বিচার সম্মেলনে নেতারা রবিবার চন্দ্রযানের সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে সমগ্র সমাজের প্রতি ভালবাসা, ভ্রাতৃত্ব, ন্যায়বিচারের আহ্বান জানিয়ে ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে মুসলিম ও অন্যান্য নিপীড়িত মানুষের বাড়িতে বুলডোজার চালানোর জন্য সরকারি অভিযানের নিন্দা করেছেন। জমিয়তে আহলে হাদিস ইউপি, জামায়াতে ইসলামী হিন্দ ইউপি পূর্ব, জমিয়তে উলামা-ই-হিন্দ ইউপি, অল ইন্ডিয়া মিলি কাউন্সিল ইস্ট ইউপি, শরিয়ত বিহার আমিরাত, ওড়িশা এবং ঝাড়খন্ড সামগ্রিকভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় এই শান্তি ও ন্যায়বিচার সম্মেলনের আয়োজন করে। নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং তাদের অধিকার অর্জনের জন্য সংবিধানে উল্লিখিত সমস্ত সম্পদ ব্যবহার করার আহ্বান জানানো হয় এদিনের সম্মেলনে।সমাজের নির্দিষ্ট অংশের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান ঘৃণা মোকাবেলায় সর্বস্তরের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সরাসরি মতবিনিময় এবং সংলাপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন উপস্থিত কওমি নেতারা। তারা বলেন, দেশে শান্তি ও ন্যায়বিচারের পরিবেশ বজায় রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব কারী কেন্দ্রীয় জমিয়তে আহলে হাদীস হিন্দের আমীর আসগর ইমাম মেহেদী সালাফি সাম্প্রদায়িকদের পরাজিত করতে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।জামায়াতে ইসলামী হিন্দের আমীর ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনী বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, ভয় পাবেন না, ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়ান। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্য, আমাদের সংকল্প, আমাদের সাহস, এটাই নিপীড়নের বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। প্রকৃত শক্তি হচ্ছে শান্তি। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক হাকিমুদ্দিন কাসমী বলেন, দেশের নির্মাতাদের কাছে এটা খুব স্পষ্ট যে এই দেশ যেমন নেহরু, গান্ধী, আম্বেদকর, তেমনি এই দেশও হুসেন ও আজাদের। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাওলানা খালিদ রশিদ ফিরাঙ্গি মাহালি, মাওলানা সাইফ আব্বাস, সন্দীপ পান্ডে, মালিক ফয়সাল মাওলানা নাঈমুদ্দিন প্রমুখ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct