আসিফ রনি, নবগ্রাম, আপনজন: অপরাধ প্রমাণে প্রযুক্তির নয়া ইতিহাস! ভারতে প্রথমবার ‘রাইট ব্লকার’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিনারা হয় খুনের। কিন্তু জিয়াগঞ্জের এই দম্পতি খুনের ঘটনায় কোন অফিসারের তীক্ষ্ণ তদন্তে অপরাধীর ফাঁসির সাজা হল জানেন কি? চার বছর আগের জিয়াগঞ্জের দম্পতি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত উৎপল বেহেরা দোষী প্রমাণিত হয়। আদালত তাকে ফাঁসির সাজা দিল। মাত্র ৫ মিনিটে এই তিনটি নৃশংস খুনের ঘটনায় শুধু জেলা নয় চমকে উঠেছিল রাজ্যবাসী। এমনকি সেই সময় কিছু সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং কিছু মিডিয়া এটা নিয়ে হিন্দু-মুসলিম ইস্যু করতেও ছাড়েনি। বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল রাজ্য পুলিশ। বদনাম কারিদের মুখে ছাই ফেলে সাত দিনের মাথায় গ্রেফতার করে অভিযুক্ত উৎপল বেহেরা কে। আর সেই অভিযুক্ত দোষী প্রমাণিত হয়, তাকে ফাঁসির সাজা দিল বহরমপুর ফাস্ট ট্রাক কোর্ট। কিন্তু জানেন কি কোন অফিসারের সুনীপন ও তীক্ষ্ণ তদন্তের দ্বারা ফাঁসির সাজা হল উৎপলের। তিনি হলেন লালবাগ সার্কেলের সিআই ও কেসের আইও গোবিন্দ বিশ্বাস। সমস্ত সম্ভাব্য প্রমাণ সংগ্রহের পর তিনি চার্জসিট জমা দেন আদালতে। শুধু তাই নয় মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য স্পেশাল পিপি নিয়োগ করেন। অপরাধ প্রমাণে ভারতে প্রথমবার ‘রাইট ব্লকার’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় খুনের কিনারায়। বৃহস্পতিবার অপরাধীকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা আদালতের। বর্তমানে নেট দুনিয়ায় প্রশংসায় ভাসছে গোবিন্দ বাবুর নাম। বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত উৎপল বেহেরাকে ফাঁসির সাজা দেয় আদালত। আর এ রায়ের পর লোকোমুখে একটাই কথা শোনা যাচ্ছে ‘আইন এখনো জীবিত আছে’। ঘটনায় মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট পুলিশের পেজে এ কেসের আইও গোবিন্দ বিশ্বাস ও কেসের সঙ্গে জড়িত সমস্ত পুলিশ অফিসারদের শুভেচ্ছা জানানো হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct