আপনজন ডেস্ক: পেশায় একজন সিটিজেন চিকিৎসক। বয়স মাত্র ২৬। কাজ করতেন জাপানের কোবে শহরের কোনান মেডিকেল সেন্টারে। কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে নেই কোনো সাপ্তাহিক ডে-অফ। টানা কাজ করতে হয়েছে। এমনকি পরের এপ্রিল মাসে তাকে ওভারটাইমও করতে হয়েছে ২০৭ ঘণ্টা। কাজের এত চাপ আর নিতে পারছিলেন না তাকাশিমা শিংগো নামের ওই চিকিৎসক। গত বছরের মে মাসে নিজ বাড়িতে করেন আত্মহত্যা। এ ঘটনার পর জাপানের কর্মপরিবেশ নিয়ে আবারও প্রশ্ন শুরু হয়েছে।তাকাশিমার আইনজীবী সাংবাদিকদের জানান, গত বছরের মে মাসে আত্মহত্যার আগে কোবের কোনান মেডিকেল সেন্টারে ওই অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। এমনকি টানা তিন মাস সাপ্তাহিক ছুটি পাননি তাকাশিমা। এতে অবসাদ পেয়ে বসেছিল। যার পরিণতি তার আত্মহত্যা।গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে তাকাশিমার পরিবার। এ সময় তার মা জুঙ্কো তাকাশিমা বলেন, আত্মহত্যার আগে কর্মক্ষেত্রে কঠিন সময় পার করতে হয়েছিল তার ছেলেকে। এমনকি সহকর্মীরা তাকাশিমাকে খুব একটা সহায়তা করতেন না। তিনি আরো বলেন, ‘ছেলে আমাকে বলেছিল, “কেউ আমার কষ্টটা দেখে না।” আমি মনে করি, কাজের কঠিন পরিবেশ ধীরে ধীরে আমার ছেলেকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নিয়েছে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct