আপনজন ডেস্ক: লাদাখের মানুষের ‘রাজনৈতিক আওয়াজ’ দমন করা হচ্ছে ও কর্মসংস্থাননের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি ‘মিথ্যা’ বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। শুক্রবার রাহুল বলেন, লাদাখের প্রতিটি মানুষ জানে যে চিন আমাদের জমি কেড়ে নিয়েছে ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবি যে এক ইঞ্চি জমিও কেড়ে নেওয়া হয়নি তা “সম্পূর্ণ মিথ্যা”। রাহুল গান্ধি গত এক সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ সফর করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি লাদাখের প্রতিটি কোণে গিয়ে যুবক, মা-বোন এবং দরিদ্রদের সঙ্গে কথা বলেছি। আরও অনেক নেতা আছেন যারা কেবল তাদের ‘মন কি বাত’ নিয়ে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাসিক রেডিও সম্প্রচারের সমালোচনা করে কংগ্রেস নেতা বলেন, “আমি আপনাদের ‘মন কি বাত’ শুনতে চাই।
তিনি বলেন, চিন ভারতের হাজার হাজার কিলোমিটার জমি কেড়ে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এটা অস্বীকার করে মিথ্যে বলছেন এবং লাদাখের প্রতিটি মানুষ এটা জানে। রাহুল বলেন, লাদাখের প্রধান ইস্যু হল এখানকার মানুষের রাজনৈতিক কণ্ঠকে “দমন” করা হচ্ছে, কর্মসংস্থানের বিষয়ে সরকারের সমস্ত প্রতিশ্রুতি “মিথ্যা” প্রমাণিত হয়েছে এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক ও বিমান সংযোগের অভাব রয়েছে। লাদাখকে স্বাগত ও ভালবাসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে রাহুল বলেন, “আমি আগামী অধিবেশনে এই সমস্ত ইস্যু সংসদে উত্থাপন করব। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ট্যুইটারে হিন্দিতে একটি পোস্টে বলেছেন, ভারত জোড়ো যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে রাহুল লাদাখের মানুষের সঙ্গে দেখা করেছেন। পদযাত্রার চেতনায় তিনি তাদের চিন্তাভাবনা শুনেছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “এই সমস্যাগুলি শোনার পরে এটি স্পষ্ট যে মোদী সরকার নিজেকে রক্ষা করার জন্য লাদাখ ছেড়ে দিয়েছে। যে সব নেতা শুধু ‘মন কি বাত’-এ ইচ্ছুক, তারা কখনই জনগণের কণ্ঠস্বর শুনতে দিতে পারবেন না। ২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে পৃথক হওয়ার পর লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়ার পর এই অঞ্চলে তার প্রথম সফর। ৩৭০ ধারা বাতিল করে প্রাক্তন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকেও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে রাহুল গান্ধি তার মোটরসাইকেলে করে প্যাংগং হ্রদ, নুবরা উপত্যকা, খারদুংলা টপ, লামায়ুরু এবং জানস্কার সহ লাদাখের বেশ কয়েকটি অংশ পরিদর্শন করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct