রাজু আনসারী, অরঙ্গাবাদ, আপনজন: চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটি ছুঁতেই খুশির হাওয়া দেশজুড়ে। গর্বে ভাসল মুর্শিদাবাদ জেলাও। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ইসরোর সফল অবতরণে যুক্ত ছিলেন ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) শতাধিক বিজ্ঞানী। যাঁদের মধ্যে একজন হলেন মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ বিধানসভার পুঠিমারীর মহব্বতপুর গ্রামের কৃতি সন্তান তশিকুল ওয়ারা। বুধবার চন্দ্রযান-৩ বিক্রম চাঁদের মাটি ছোঁয়ার খবর প্রকাশিত হতেই দেশজুড়ে আনন্দের বাতাবরণ বয়ে যায়। সেই সফল অভিযানে যুক্ত ছিলেন পুঠিমারীর মহব্বতপুর গ্রামের কৃতি সন্তান তশিকুল ওয়ারা।চন্দ্রযান-৩ এর সফল অভিযানের সাক্ষী এ রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী। ইসরোতে কর্মরত সেই সব বাঙালি বিজ্ঞানীদের জন্য বাংলার গর্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসরোর সেই কৃতী বাঙালি তরুণ বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম হলেন তশিকুল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় খুশির জোয়ার বয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে আনন্দের বাতাবরন সৃষ্টি হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তোশিকুল ওয়ারা সামশেরগঞ্জের ভাসাইপাইকর হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। তারপর জঙ্গিপুর হাইস্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বহরমপুর কে.এন কলেজ থেকে পদার্থ বিদ্যায় গ্রাজুয়েশন করেন। গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে কলকাতার রাজা বাজার কলেজ থেকে বি টেক এবং এম টেক সম্পন্ন করেন। যদিও সেসময় সামশেরগঞ্জের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেন। ১৯৯১ সালে ইসরো তে জুনিয়র বিজ্ঞানী হিসাবে যোগ দেন তোশিকুল ওয়ারা। তারপরেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী তসিকুল ওয়ারর ভাই তথা ফরাক্কার অর্জুনপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ওয়ারা জানান, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত। আমার ভাই ইসরো-তে যে সফলতা পেয়েছে তার জন্য গোটা এলাকাবাসী খুশি। আমরা চাই আমার ভাই দেশকে আরো উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাক। বর্তমানে ইসরোর স্যাটেলাইট সেন্টারে যুক্ত রয়েছেন। দেশজুড়ে চন্দ্রযান-৩ সাফল্যে যখন আনন্দর বাতাবরণ বইছে। ঠিক তখনই সেই সফল অভিযানে সামিল হওয়ার জন্য তোশিকুল ওয়ারার অবদানকে স্যালুট জানিয়ে আনন্দের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct