নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: রাজ মিস্ত্রির স্ত্রী কে নিয়ে পালিয়ে গেল কল মিস্ত্রি। সালিশি সভায় অশ্রুভরা নয়নে স্ত্রী কে প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন স্বামী।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুস্তুরিয়া গ্রামে।জানা গেছে,হিন্দু শাস্ত্র মতে স্বপনা সিংহ ও মতিলাল সিংহ র চার হাত এক হয়েছিল প্রায় ৮ বছর আগে।৮ বছর সংসার জীবন কাটানোর পর সেই স্ত্রী ভালোবাসার জালে জড়িয়ে পড়েন প্রতিবেশী গ্রামের এক কল মিস্ত্রির সঙ্গে।এরপর তারা একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রেমিক তাপস সিংহের হাত ধরে পালিয়ে যান স্বপনা সিংহ।দিল্লিতে এক মাস থাকার পর সপ্তাহ খানেক আগে নিজ এলাকায় তারা ফিরে আসেন।এরপর স্বামী মতিলাল সিংহ সালিশি সভায় দাঁড়িয়ে শনিবার রাতে প্রেমিকের হাতেই স্ত্রী স্বপনা কে তুলে দেন।মতিলাল সিংহ পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রী।বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার গৌরিপুর গ্রামে।প্রায় ৮ বছর আগে বিয়ে করে ছিলেন বিহারের আবাদপুর থানার লক্ষীটোলা গ্রামে স্বপনা সিংহ কে।বিয়ের পর তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়।যার বর্তমান বয়স ৫ বছর।কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে ওই যুবক লক্ষ্য করেন যে,তার স্ত্রী গোপনে কারো সাথে ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলছে, এরপর ফোনটি নিয়ে নেয় স্বামী।কিন্তু তাতেও তার স্ত্রীর ভালোবাসায় এতোটুকু ভাটা পড়েনি।নানা বিষয়ে অশান্তি লেগে থাকতো তাদের মধ্যে।পরে স্বামী 

জানতে পারেন প্রতিবেশী ভাটল দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা কল মিস্ত্রি তাপস সিংহের প্রেমে পড়েছে স্ত্রী স্বপনা।স্ত্রী মাঝেমধ্যেই দিদির বাড়ি যাওয়ার নাম করে প্রেমিক তাপসের সঙ্গে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও পার্কে আড্ডা দিত।বহুবার চেষ্টা করেও স্ত্রীকে দ্বিতীয় ভালোবাসা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেনি স্বামী।অবশেষে সংসারের শান্তির কথা ভেবে ৮ বছরের সংসার জীবনের ভালোবাসা ভুলে নিজের স্ত্রী কে সালিশি সভায় তার প্রেমিকের হাতে তুলে দিলেন।স্বামী মতিলাল সিংহ স্পষ্ট জানিয়ে দেন স্বপনা কে নিয়ে তিনি আর ঘরসংসার করতে চান না।তাদের বিয়েতে মতিলালের কোনো আপত্তি নেই।তবে সরকারিভাবে এখনই মতিলাল কে ডিভোর্স দিতে রাজি হননি স্বপনা।আরো জানা গেছে,কল মিস্ত্রি তাপস সিংহ প্রায় ১৯ বছর আগে গ্রামেই ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন।তার বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী,এক ছেলে ও এক মেয়ে।অভাবের সংসারে দুই স্ত্রীকে নিয়ে কিভাবে চলবেন এখন সেটাই দেখার বাকি রয়েছে।স্ত্রীর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্বামী তাকে মারধর করতো।সবসময় সন্দেহের চোখে দেখতো।তাই স্বামীর অত্যাচারে প্রতিবেশী গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তার সঙ্গে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।এখন সে প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহ জীবনে আবদ্ধ হয়ে ঘর সংসার করবেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় মুসলিম বিবাহের স্বীকৃতি

প্রতিশ্রুতি মিলেছে রাস্তা মেলেনি, কর্মাধ্যক্ষের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ফজলে হক সংবর্ধিত