নিজস্ব প্রতিবেদক, চাম্পাহাটি, আপনজন: বারুইপু্রের চম্পাহাটি হাড়ালে ঘরে ঘরে বাজি নির্মাণ ঠেকাতে তৈরি হবে বাজি হাব, আধুনিক কমন ফেসেলিটি সেন্টার। সেই সঙ্গে দমকলের ব্যবস্থাও থাকবে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বাজি শিল্প বাঁচাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেয় পাশাপাশি কোনোভাবেই বাজি তৈরি করতে গিয়ে দুর্ঘট না ঘটে , সেদিকে লক্ষ্য রেখে ফাঁকা জায়গায় তৈরি হবে বাজি হাব। প্রস্তাবিত বাজি হাব সহ কমন ফেসেলিটি সেন্টার, দমকল রাখার সহ বাজি বিক্রি একাধিক ব্যবস্থা এক প্রস্থ এগিয়ে চলেছে রাজ্য সরকার। জমির পরিদর্শনে করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সরদার, অতিরিক্ত জেলাশাসক সিয়াত এন (জেনারেল), বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার মিস পুস্পা, বারুইপুর মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার সহ সেচ দপ্তর, ভূমি সংস্কার, দমকলের বিভিন্ন আধিকারিকরা। চীনের মোড় থেকে ভিতরে ঢুকে জমি পরিদর্শন করেন জেলাশাসক। বাজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। পরে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, চম্পাহাটি, বেগমপুরে, সাউথ গড়িয়া এলাকায় বাজির ব্যবসা হয়। বাজি যাতে ঘরে ঘরে না তৈরি হয় সেইদিকে নজর রেখে জনবসতি থেকে দূরে বাজি ক্লাস্টারের জমি দেখা হয়েছে। হাব, ক্লাস্টার সব নিয়ম মেনেই হবে। আমাদের কাছে কাগজ পত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি, বিধায়ক বিভাস সরদার বলেন, বাজি হাব, ক্লাস্টার হলে উপকৃত হবেন ব্যবসায়ীরা। কাটাখাল বাইপাসের দু’পাশে হাব করার জন্য সেচ দপ্তরের জায়গা চিহ্নিত করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বাজি ব্যবসায়ী অর্জুন মন্ডল বলেন, এই এলাকার কয়েক লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে বাজি শিল্পীর উপরে যুক্ত আছে। রাজ্য সরকার বাজি শিল্পীদের কথা ভেবে এবং বাজি তৈরি করার যে পদ্ধতি ব্যবস্থা নিয়েছে তার জন্য খুশি কারণ যে কোন মুহূর্তে এই চামপাটি এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে অনেকটাই সেই কারণে ফাঁকা জায়গায় এভাবে কারখানা তৈরি হলে অনেকটাই দুর্ঘটনার হাত থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে পারবো। বাঁচানো যাবে ওটা এলাকা । স্থানীয় বিধায়ক নিজে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছেন বাজি শিল্পীদের বাঁচানোর জন্য। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন জনবসতি থেকে দূরে বাজি ক্লাস্টার হবে। তার প্রথম পর্যায়ে জমি দেখা হয়েছে যেখানে বাজির তৈরি বিক্রি করা যায় এবং নিরাপত্তার সঙ্গে তার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শব্দ বাজিকে এভোয়েড করে গ্রীন বাজিক উপরে বেশি নজর দেওয়া হবে। গ্রাম ছেড়ে এই ফাঁকা জায়গায় বাজি তৈরীর কারখানা হলে এলাকায় অনেকটাই দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে মনে করছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct