আপনজন ডেস্ক: আগামী ২০২৪ সালের লোকসভার দিন যত এগিয়ে আসছে ততই দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে রাহুল গান্ধিকে হারিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া স্মৃতি ইরানি বারে বারে নিশানা করে চলেছেন গান্ধি পরিবারকে। সম্প্রতি, সংসদে রাহুলের ভঙ্গি নিয়ে আপত্তি তুলে হইচই সৃষ্টি করেন। আর প্রায়শ আমেঠিকে কেন্দ্র করে রাহুলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না স্মৃতি। এবার ফের সেই আমেঠি থেকে আগামী লোকসভা ভোটে লড়তে চলেছেন রাহুল গান্ধি। এ প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেসের নবনিযুক্ত সভাপতি অজয় রাই শুক্রবার জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আমেঠি থেকে লড়বেন। বারাণসীতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রাহুল গান্ধি অবশ্যই আমেঠি থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, আমেঠির মানুষ এখানে রয়েছেন।২০০৪ সাল থেকে এই আসন থেকে সাংসদ থাকা রাহুল গান্ধি ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে পর্যন্ত আমেঠি গান্ধি পরিবারের দীর্ঘদিনের দুর্গ ছিল। দিল্লি থেকে বিমানবন্দরে জড়ো হওয়া দলীয় কর্মী ও নেতাদের ঘিরে রাই বলেন, দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি চাইলে বারাণসী বা অন্য কোনও জায়গা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘প্রিয়াঙ্কা গান্ধির যদি বারাণসী থেকে লড়াই করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে প্রত্যেক কর্মী তাঁর জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করবেন। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হওয়া উচ্চ বর্ণের ভূমিহার রাইকে দলিত নেতা ব্রিজলাল খাবরির স্থলাভিষিক্ত করে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে দু’বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার নতুন পদ কি পুরস্কার স্বরূপ, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আমার অব্যাহত সংগ্রামের ফল, যিনি জেলে গেছেন, যিনি ক্রমাগত ভুল প্রকাশ করছেন, অজয় রাই রাহুল গান্ধির ‘সিপাহী’। এই লড়াই সারা রাজ্যেই হবে। গত নির্বাচনে আমেঠিতে রাহুল গান্ধিকে পরাজিত করা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে রাই বলেন, তিনি হতাশ বলে মনে হচ্ছে। কারণ তিনি বলেছিলেন ১৩ টাকা কেজি দরে চিনি পাবেন রাজ্যের মানুষ। আমেঠির লোকেরা এখানে আছে, তাদের জিজ্ঞাসা করুন, তারা এই দলে চিনি পেয়েছেন কিনা। রাই্ বলেন, যদিও রাহুল গান্ধি বর্তমানে কেরালার ওয়ানাড থেকে সাংসদ। কিন্তু আমিঠতে বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং “ইডি এবং সিবিআইয়ের মাধ্যমে সৃষ্ট ভয়” আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে প্রধান ইস্যু হবে। রাই আরও বলেন, রাহুল গান্ধি, দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধির দেওয়া ‘ভালোবাসার’ বার্তা প্রতিটি গ্রামে ও ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি আরও দাবি করেন, কংগ্রেস প্রতিটি গ্রামে বিজেপিকে পরাজিত করবে। রাই ১৯৯৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০ বছর বিধায়ক ছিলেন এবং ২০১২ সালে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগে বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টিতে ছিলেন। রায়বরেলির সাংসদ সোনিয়া গান্ধি বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের একমাত্র কংগ্রেস সাংসদ। গত বছরের রাজ্য নির্বাচনের পর ৪০৩ সদস্যের ইউপি হাউসে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির শক্তি মাত্র দু’জনে নেমে আসে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct