আপনজন ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল তদন্তকারী পুলিশ। এদিন দুপুরে যাদবপুর থানায় ঢোকেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কালীতা। জানা গিয়েছে, ডিসি (এসএসডি)-এর নেতৃত্বেই এই তিনজনের জিজ্ঞাসাবাদ চলে । তাদের বয়ানে বেশকিছু অসঙ্গতিও ধরা পড়ে। তারপর পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে বলে সূত্রের খবর। গ্রেফতার কৃত ওই তিনজন ছাত্র হলেন শেখ নাসিম আক্তার, হিংমাশু কর্মকার, সত্যব্রত রায়। এরমধ্যে নাসিম যাদবপুরের প্রাক্তনী বলে জানা যাচ্ছে। রসায়নে স্নাতকোত্তর পাশ করে বেরিয়ে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। অন্যদিকে হিমাংশুর পড়াশোনা গণিত নিয়ে। তিনিও প্রাক্তনী। সত্যব্রত রায়ের পড়াশোনা চলছে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে। বর্তমানে তিনি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে এই সত্যব্রতই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার দিন ডিনকে ফোন করেছিলেন। সব মিলিয়ে সব মিলিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১২ জন। উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে তিন তলা থেকে রহস্যজনকভাবে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের ছাত্রের। ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ র্যাগিংয়ের জেরেই তার মৃত্যু হয়েছে। তা নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বিষয়টি নিয়ে শোকজ করে ১২ দফা প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে যাদবপুরের ব়্যাগিং নিয়ে শুক্রবার মুখ খুলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। সৌরভ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করার জায়গা। সেটাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।’ তবে, বৃহস্পতিবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহামঞ্জু বসু বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কিছু এলাকায় সিসিটিভির নজরদারির কথা বলে। যদিও তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন এসএফআই নেতারা। ব়্যাগিং বন্ধের দাবিতে শুক্রবার ফের পথে নামে এসএফআই সহ বাম ছাত্র সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাদবপুর থানা পর্যন্ত মিছিল করে বাম ছাত্র সংগঠন। একই সঙ্গে এদিন সন্ধ্যায় নাগরিক সমাজের ডাকে যাদবপুরে মিছিল হয়। ওই মিছিলের জন্য ব্যপক যানজট হয়, পরে যাত্রীদের বিক্ষোভের জেরে মিছিলকারীরা রাস্তা ছেড়ে দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct