আপনজন ডেস্ক: কর্নটক হিন্দু যাত্রা ব্যাপরাস্তর সংঘ রাজ্য সরকারের অধীনস্ত এনডাউমেন্ট ডিপার্টমেন্টের অধীনে মন্দিরের মেলা বা বার্ষিক উত্সবের সময় অহিন্দুদের (মুসলমানদের) দোকান স্থাপনের অনুমতি না দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর সাথে সাথে সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে বিক্রেতাদের মধ্যে বিভাজন সামনে এল। সংঘের সভাপতি মহেশ দাস বলেন, কর্নাটক হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও দাতব্য সংস্থা আইনের ৩১(১২) ধারা অনুযায়ী মন্দিরের কাছে অবস্থিত জমি, ভবন বা স্থান সহ কোনও সম্পত্তি অহিন্দুদের ইজারা দেওয়া যাবে না। মহেশ উডুপি এবং দক্ষিণ কন্নড় জেলায় ‘এলাম’ (মন্দির প্রাঙ্গণে স্টল নিলাম) যাতে না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এধরনের বিষয়গুলি শুধুমাত্র ডিকে এবং উডুপি জেলায় দেখা যায়, যা সমস্ত সমস্যার মূল কারণ।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যে মন্দিরগুলি এনডাউমেন্ট বিভাগের অধীন নয়, সেগুলির পরিচালনা কমিটি মন্দিরের উৎসবের সময় মুসলিম বিক্রেতাদের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। চলতি বছরের মে মাসে শুরু হওয়া এই সংঘের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ৭০ হাজারেরও বেশি।হিন্দু বিক্রেতাদের সম্পূর্ণ আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে তারা একটি সমিতি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কর্নাটক হাইকোর্টের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার রায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা নিষেধাজ্ঞাআরোপের আহ্বান জানানোর পর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ প্রথমে মন্দিরমেলার সময় মুসলিমদের দোকান স্থাপনে বাধা দেওয়ার জন্য প্রচারণা শুরু করে। ডিকে জেলার বিধিবাধি ব্যাপারস্তর শ্রেয়াভিভ্রদ্ধি সংঘের অনারারি সভাপতি বি কে ইমতিয়াজ বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল উভয় জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়ানোর জন্য বিক্রেতাদের টার্গেট করছে। বৃহস্পতিবার এনডাউমেন্ট ডিপার্টমেন্টকমিশনারের আদেশের (তারিখ ১১ আগস্ট) উদ্ধৃতি দিয়ে ইমতিয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, অহিন্দুরা স্টল নিলামে অংশ নিতে পারবেন এবং মন্দির প্রাঙ্গণের বাইরে দোকান স্থাপন করতে পারবেন। উডুপি ও ডিকে জেলা প্রশাসন মন্দির পরিচালনা কমিটির উপর চাপ সৃষ্টিকারী ও অহিন্দুদের দোকান স্থাপনে বাধা দেওয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তিনি প্রতিবাদ শুরু করার হুঁশিয়ারি দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct