আপনজন ডেস্ক: মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইতোমধ্যে লোহিত সাগর পাড়ি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামুদ্রিক বাহিনী ইরানি জলসীমায় প্রবেশে অগ্রসর হওয়া বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে সতর্ক করছে। হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় ইরান কর্তৃক তেলের ট্যাংকার আটকের চেষ্টার পর এই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের মোট উৎপাদিত তেলের এক-পঞ্চমাংশ এই প্রণালি দিয়ে পরিবহন করা হয়। মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের মুখপাত্র কমান্ডার টিম হকিন্স বলেছেন, 'প্রণালিতে ইরান কর্তৃক জাহাজ জব্দের একটি উচ্চতর হুমকি ও ঝুঁকি রয়েছে। এই মুহূর্তে, আমাদের মনোযোগ হলো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জলপথে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হরমুজ প্রণালির আশেপাশে আমাদের উপস্থিতি বাড়ানো।' উপসাগরীয় ধনী দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে যখন টানাপড়েন বিরাজ করছে তখন সমুদ্রে তেলের ট্যাংকারে হামলা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে উপসাগরীয় মিত্ররা নিজেদের তেল সম্পদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করে আসছে। মার্কিন সেনাবাহিনী বলছে, 'ইরান গত দুই বছরে এই অঞ্চলে প্রায় ২০টি আন্তর্জাতিক পতাকাবাহী জাহাজ জব্দ করেছে বা জব্দের চেষ্টা করেছে।' ওয়াশিংটন বলেছে, তাদের বাহিনী ৫ জুলাই ওমানের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইরানের বাণিজ্যিক ট্যাংকার আটক করার দুটি প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে। এপ্রিল ও মে মাসের শুরুতে ইরান আঞ্চলিক জলসীমায় এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি ট্যাংকার আটক করে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন একটি নৌ জোট বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর প্রতি একটি সতর্কবার্তা প্রকাশ করেছে। এতে ইরানের জলসীমা থেকে যতটা সম্ভব দূর দিয়ে ট্রানজিট করার পরামর্শ জারি দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে দুটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজে করে লোহিত সাগরে পৌঁছান ৩ হাজার সেনা। ওয়াশিংটন ইতোমধ্যে যুদ্ধবিমান মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হকিন্সের মতে এই শক্তিবৃদ্ধি যেখানে প্রয়োজন সেখানে আরও শক্তিশালী বাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারবে ওয়াশিংটন। ২০১৯ সালে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার সময় ছাড়াও অতীতে উপসাগরীয় অঞ্চলে অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার দেশটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct