আপনজন ডেস্ক: ত্বককে ভেতর এবং বাইরে থেকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করার জন্য ধারাবাহিকভাবে যত্ন নিতে হবে। পাশাপাশি খাদ্যতালিকার দিতেও নজর দেওয়া জরুরি। ফল, শাক-সবজির পাশাপাশি ত্বকের জন্য ভালো এমন আরও কিছু খাবার রাখতে পারেন পাতে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ নানা ধরনের বীজ খেতে পারেন ত্বক ভালো রাখার জন্য। কুমড়োর বীজে রয়েছে স্কোয়ালিন এবং ভিটামিন ই, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে। এই বীজ জিঙ্কের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা ব্রণ প্রতিরোধ করতে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। কুমড়োর বীজে থাকা প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে কোমল এবং উজ্জ্বল করে। কুমড়োর বীজে আরও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য, যা ত্বকের পাশাপাশি চুলও ভালো রাখে। এছাড়া খেতে পারেন চিয়া বীজ। এটা শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বকের প্রদাহ এবং জ্বালা প্রতিরোধে অতুলনীয়। চিয়া বীজের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে মুক্ত রাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়া বলিরেখা প্রতিরোধেও এর রয়েছে ভূমিকা। খাওয়ার পাশাপাশি চিয়া বীজ ব্যবহার করতে পারেন ত্বককে ময়শ্চারাইজ করার জন্য। সূর্যমুখী বীজ ত্বকের যত্নে অনন্য। এগুলোতে ভিটামিন ই, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্ক রয়েছে। লিনোলিক, ওলিক এবং পামিটিক অ্যাসিডের মতো ফ্যাটি অ্যাসিডগুলো সূর্যমুখী বীজে পাওয়া যায়, যা কোলাজেন উৎপাদনকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। সবচেয়ে ভালো তিলের বীজ। এতে পরিমাণ মতো জিঙ্ক থাকে। এগুলোর অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব হয়। ত্বককে শুষ্ক হওয়া থেকে রোধ করতে পারে তিলের বীজ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ তিলের বীজ চুলের জন্যও দুর্দান্ত। মসলা ও ঘি মিশিয়ে ভেজে খেতে পারেন মিষ্টি কুমড়োর বীজ। চিয়া বীজ কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রেখে খাবার ও পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।খোসাযুক্ত সূর্যমুখী বীজ ছিটিয়ে দিতে পারেন সালাদে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct