আপনজন ডেস্ক: ধৈর্য ধরে কাজ করলে সফলতা আসবেই। এ কথা প্রায় বড়দের মুখ থেকে আমরা শুনতাম। কেউ কেউ স্বভাবগতভাবেই ধৈর্যশীল। কেউ আবার অল্পতেই হারিয়ে ফেলেন ধৈর্য। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ধৈর্যহারা হয়ে পড়লে বিপদ আরও বাড়ে। অনেক সময় দেখা যায় পরিস্থিতির কারণে আমরা বাধ্য হয়ে অধৈর্য হয়ে পড়ি। আপনি যদি রাগের মাথায় অন্যকে আঘাত করে ফেলেন বা আপত্তিকর আচরণ করে ফেলেন, তবে সেটা পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করবে আপনাকেই। এমন পরিস্থিতিতে তাই আপনাকে শান্ত থেকে ঠিক করতে হবে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে। প্রথমে একটা বিষয় মাথায় রাখুন। কেন আপনি ধৈর্যহারা হচ্ছেন সেটা খুঁজে বের করুন । কোন পরিস্থিতিতে খুব বিরক্ত হচ্ছেন? ভাবার চেষ্টা করুন কেন এটি আপনাকে বিরক্ত করছে। একবার কারণ শনাক্ত করলে নিজেই সেই বিরক্তি কাটিয়ে ওঠার উপায়গুলো খুঁজে বের করতে পারবেন। চোখ বন্ধ করে, একটি গভীর শ্বাস নিয়ে মেডিটেশন অনুশীলন করতে পারেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে আপনার জন্য। কোনও কিছু নিয়ে হতাস হয়ে পড়লে এমন কিছু ভাবুন যার জন্য আপনি কৃতজ্ঞ। এটি আপনাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করবে। এতে জীবন সম্পর্কে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনি। কখনও কখনও পরিস্থিতি পরিবর্তন করার জন্য আপনি কিছুই করতে পারেন না। এই ক্ষেত্রে, অধৈর্য হলে কিছুই সমাধান হবে না। এর চাইতে বরং পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সবকিছু আরও সহনীয় হবে। দৈনন্দিন জীবন অনেক কম বিরক্তিকর মনে হবে, যদি পরিস্থিতি হালকা করতে পারেন। অনেক চাপের পরিস্থিতি সহজ করতে পারে হাসি ও রসিকতা। তাই কোনও পরিস্থিতিকে খুব বেশি গুরুত্ব সহকারে নেবেন না। ভালো শ্রোতা হওয়ার চেষ্টা করুন। আরেকজনের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। অন্যের কথা শেষ পর্যন্ত শোনা আপনাকে ধৈর্যশীল হতে সাহায্য করবে। সবসময় নিজেকে প্রাধান্য দেবেন না।অধৈর্য হয়ে পড়া কিছু ক্ষেত্রে স্বার্থপর মানসিকতা। সবারই নিজস্ব উদ্বেগ, আকাঙ্ক্ষা এবং দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তাই সবসময় নিজেকে প্রাধান্য না দিয়ে সামনের মানুষটার অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন। হয়তো তিনি এমন কিছুর মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন যা আপনি জানেন না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct