নিজস্ব প্রতিবেদক, তমলুক: তমলুকে গঠিত হল নির্দলের গ্রাম পঞ্চায়েত। এই নির্দলের গ্রাম পঞ্চায়েতকে সমর্থন বাম ও বিজেপির। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটের দিন থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত ভোট গঠনেও রাজনৈতিক সমীকরণ অঞ্চল ভিত্তিক বদলে যাচ্ছে। কোথাও তৃণমূলের সমর্থনে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত। কোথাও বামের সমর্থনে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত। কিন্তু সব থেকে চমকপ্রদ ঘটনাটি ঘটল তমলুক ব্লকের পদমপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয় শুক্রবার। এই গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন করেন নির্দল। নির্দল বোর্ড ভোট গঠনে বিজেপি ও বামের সমর্থন পায়।
পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের দিন থেকেই জল মাপা শুরু হয় পদমপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। কারণ এই গ্রাম পঞ্চায়েতকে গঠন করবে তা নিয়ে শাসক তৃণমূলের পাশাপাশি বিরোধী শিবিরও তৎপর ছিল। প্রসঙ্গত, এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়ী ভোটের উপপ্রধান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ভোটের আগেই গ্রেফতার হন। তারপর থেকেই এই এলাকায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মনোবল অনেকটাই ক্ষুন্ন হয়। এমনকি ওই বিদায়ী বোর্ডের উপ-প্রধানের নির্বাচিত আসনে তৃণমূল প্রার্থীও দিতে পারেনি। ভোট পরবর্তী সময়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করবে তা নিয়েছিল টানটান উত্তেজনা। অবশেষে শেষ হাসি হাসল নির্দল থেকে জয়ী প্রার্থীরা। কুরপাই দক্ষিণ বুথ থেকে জয়ী নির্দল প্রার্থী দোলন মাইতি প্রধানরূপে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে মিরিকপুর দেশবন্ধু বুথের নির্দল থেকে জয়ী প্রার্থী সুদর্শন মাঝি উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন।
তমলুক ব্লকের পদমপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত বাম জামানায় ২০০৩ সাল থেকেই ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল। অবশেষে কুড়ি বছর পর ক্ষমতার হস্তান্তর হল বাম বিজেপির সমর্থনে। বামেদের দাবি তারা বিজেপিকে সমর্থন করেনি। গ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নীতি রুখতে নির্দলের প্রধান কে সমর্থন করেছে। অন্যদিকে বিজেপি শিবিরের দাবি, আমরা চোর মুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত গড়তে নির্দলদের সমর্থন জানিয়েছি। যদিও এই বিষয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের দাবি, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট গঠনে অন্যায় হয়েছে। মানুষের জনমতকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অনৈতিক জোট বোর্ড গঠন করেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct