নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: ফের বোর্ড গঠনে ঝরল রক্ত। চাঁচলের পর এবার হরিশ্চন্দ্রপুরে। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া চলাকালীনই হরিশ্চন্দ্রপুর -১ নং ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরের ভেতরে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের উপর ধারালো ব্লেড চাকু ও জানালার রড দিয়ে হামলার অভিযোগ জোট প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।যদিও জোট প্রার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন।জানা গিয়েছে,আজ শনিবার ছিল কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। অভিযোগ, গঠন প্রক্রিয়া চলাকালীন জোটের জয়ী প্রার্থীরা আচমকাই অতর্কিতভাবে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের উপর হামলা চালায়। এতে শাসকদলের ছয়জন জয়ী প্রার্থী রক্তাক্ত হয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি করে তাদের উদ্ধার করে কুশিদা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে মালদা রেফার করা হয়েছে এবং পাঁচজন প্রার্থী কুশিদা গ্রামীণ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৮ টি আসনের মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছে ৯ টি,বাম কংগ্রেস জোট ১১ টি, নির্দল ৪ টি ও বিজেপি ৪ টি আসন পায়। ত্রিশঙ্কু এই গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী নির্দল প্রার্থীদের সাথে পঞ্চায়েত গঠনের লক্ষ্য নিয়েছিল জোট। এতেই তৃণমূলের হাতছাড়া হয়ে পড়ছিল পঞ্চায়েত। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপির সমর্থন নিয়ে তারাই পঞ্চায়েত গড়তো। তার মাঝেই ছড়াল উত্তেজনা। শেষমেষ জোট বোর্ড গঠন করেন বলে খবর।প্রশ্নের মুখে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা।তৃণমূলের অভিযোগ,কঠোর পুলিশি নিরাপত্তা থাকা সত্যেও ধারালো অস্ত্র নিয়ে কিভাবে জোটের প্রার্থীরা প্রবেশ করল পঞ্চায়েত দপ্তরের ভিতরে।গন্ডগোল চলাকালীন কেনই বা পদক্ষেপ নিলোনা পুলিশ।পুলিশের উপস্থিতির পরেও কিভাবে ঝড়ল রক্ত?পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে কুশিদা গামী রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকেরা।পুলিশ ও র্যাফকে ঘিরেও চলতে থাকে বিক্ষোভ।প্রায় দুই ঘন্টাধরে বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ ও স্থানীয় নেতৃত্ব দের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন তৃণমূল কর্মীরা। যদিও জোট প্রার্থীদের দাবি,তৃণমূলের পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে বলেই তারা নিজেদের মধ্য গন্ডগোল পাকিয়ে জোটকে ফাসানোর চক্রান্ত করছে।তবে তাদের চক্রান্ত বিফল হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct