আপনজন ডেস্ক: ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় গত ৭ আগস্ট উন্মুক্ত আদালতে ঘোষণা করেন, সহিংসতা-বিধ্বস্ত মণিপুরে ‘পরিস্থিতি নিরসনে’ সুপ্রিম কোর্ট জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তলের নেতৃত্বে হাইকোর্টের তিন প্রাক্তন বিচারপতির একটি মহিলা কমিটি গঠন করবে। এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বম্বে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শালিনী ফানসালকর জোশী এবং দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আশা মেনন। তিন বিচারপতির বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “ত্রাণ ও পুনর্বাসন, বসতবাড়ি, ধর্মীয় উপাসনালয় পুনরুদ্ধার, আরও ভাল ত্রাণ কাজ ইত্যাদির তদারকি, হস্তক্ষেপ এবং পর্যবেক্ষণের জন্য এটি একটি বিস্তৃত ভিত্তিক কমিটি গঠন করা হবে। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, হিংসার সময় দায়ের হওয়া মামলাগুলির সামগ্রিক তদন্তের তদারকির জন্য অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার দত্তাত্রেয় পদসালগিকরকেও নিয়োগ করতে চায় আদালত। মণিপুরে মে থেকে জুলাই পর্যন্ত ৬,৫০০ টিরও বেশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার নেতৃত্বাধীন মণিপুর সরকারের পক্ষে বলা হয়, থাউবাল যৌন সহিংসতার ঘটনা সহ মহিলাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত যৌন সহিংসতা সম্পর্কিত ১১টি এফআইআর সিবিআই কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মণিপুর পুলিশের কাছে থাকা অন্যান্য মামলার বিষয়ে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, তারা ৪২টি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করেছে। শীর্ষ আদালত অবশ্য বলেছে, হত্যা, অগ্নিসংযোগের মতো গুরুতর অপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের মতো এই মামলাগুলির রাজ্য পুলিশের তদন্তের দিকে নজর রাখতে রাজ্যের বাইরের চোখ রাখতে চায় তারা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct