আপনজন ডেস্ক: আমরা কতটুকু লম্বা হবো তা আমাদের বংশগতি থেকেই নির্ধারিত হয়। তা সত্ত্বেও বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়েদের মধ্যে আরও লম্বা হওয়ার বাসনা মনের মধ্যে থাকে। যারা বেশ ভালো লম্বা, তারাও মনে করেন, আরও ১-২ ইঞ্চি লম্বা হতে পারলে বেশ ভালো হত।তবে একথাও ঠিক আমাদের পূর্ব-পুরুষরা লম্বা হলেও আমরা যদি অপুষ্টিতে ভুগি তবে আমাদের বৃদ্ধি ঠিকমতো হবে না। আর মানুষের দেহের বৃদ্ধি ঘটে ২৫ বছর বয়স পর্যন্তই। তাই কিশোরকাল থেকেই এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে। বেশ কয়েকটি জিনিসের সমন্বয় লম্বা হতে সাহায্য করবে। প্রথমত পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম। খাদ্য তালিয়া থাকবে পর্যাপ্ত মিনারেলস।বিভিন্ন ধরনের মিনারেল আমাদের খাবার তালিকায় রাখতে হবে। আমাদের দেহে প্রতিটি কাজে মিনারেলের ভূমিকা রয়েছে। হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে মিনারেল একান্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। বিষেশভাবে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যেন পরিমাণ মতো গ্রহণ করা হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ছোট মাছ, খেজুর, বাধাকপি, ফুলকপি, ব্রোকলি, পালংশাক, পুঁই শাক ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াম আছে। দুগ্ধজাত খাবার, মাছ, মাংস, এমনকি সবজিতেও ফসফরাস রয়েছে। আয়রন পাওয়া যায় খেজুর, ডিমের কুসম, কলিজা, গরুর মাংসে। ম্যাগনেসিয়াম আছে আপেল, জাম্বুরা, ডুমুর, লেবু ইত্যাদিতে। জিন্ক পাওয়া যায় ডিম, সূর্যমূখীর বীচিতে। আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের ভিটামিনই বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফল থেকে পাওয়া যায়। কিন্তু খাবারের ভিটামিন দেহে কতটুকু গৃহীত হচ্ছে তা বোঝা বেশ কঠিন। তাই বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ভিটামিন-বি১ আছে চীনা বাদাম, লাল চাল ও গমে। ভিটামিন-বি২ আছে মাছ, ডিম, দুধে। ভিটামিন-বি৬ রয়েছে বাধাকপি, কলিজা, গরুর মাংসে। ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায় মাছের তেল, দুগ্ধজাত খবার থেকে। ভিটামিন ‘ই’ আছে ডিম, সয়াবিন, গমে। ভিটামিন ‘এ’ আছে ডিমের কুসুম, গাজর, দুধ ও কলিজায়। হাড়ের বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাংসপেশিও বাড়াতে হবে লম্বা হওয়ার জন্য। আর মাংস পেশির বৃদ্ধি ও মজবুত হওয়ার জন্য প্রয়োজন প্রোটিন। খাবার তালিকায় ভালো মানের প্রোটিন যেমন- মাছ, মাংস, ডিম রাখুন। বিভিন্ন ডাল, মটরশুটি, শিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি ইত্যাদি থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়। খাবার তালিকায় সয়া প্রোটিন, বিভিন্ন রকমের প্রোটিন সেইক যোগ করতে পারেন। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করতে হবে, কম হলেও দুই লিটার প্রতিদিন। দৈনিক আট ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস তৈরি করুন। খেলাধূলা না করা-বাস্কেট বল, ভলিবল খেলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। দড়ি লাফের মতো সাধারণ ব্যায়াম শুরু করুন। অপুষ্টি-পুষ্টিকর ও সুষম খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন। মদ্যপান ও ধূমপানসহ সব ধরনের মাদকের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct