আপনজন ডেস্ক: তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এই মুহূর্তে অস্থির বিশ্বের বহু দেশের মানুষের জনজীবন। বিশেষ করে আমেরিকার অ্যারিজোনা রাজ্যের ফিনিক্স শহর। ফুটন্ত কড়াইয়ের মতো ফুটছে শহরের ঘরবাড়ির মেঝে। ঘরের বাইরে দহনের মাত্রা আরও তীব্র। পায়ের তলার মাটি যেন উত্তপ্ত লাভা। সেখানকার পিচঢালা পথগুলো এখন আগুনের কুণ্ডলী। ফুটপাত দিয়ে হেঁটে চললে পুড়ে যাচ্ছে শরীর, ফোস্কা পড়ছে পায়ের তলায়। কংক্রিটের তৈরি রাস্তাগুলোর উপরিভাগের তাপমাত্রা ৮২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাছে। দিন যত গড়াতে থাকে বাড়তে থাকে তাপমাত্রার প্রখরতা। থার্মোমিটারে যেখানে ঘাসের ওপর তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় সেখানে আসফল্ট বা সিমেন্টের মেঝের তাপমাত্রা ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মাসে ঐতিহাসিক গরমের শিকার হয়েছিল ফিনিক্স। অসহনীয় গরমের তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। টানা ১৮ দিন তাপমাত্রার প্রভাব একই ছিল। সেখানকার চিকিৎসকরা বলছেন, বর্তমানে বার্ন ইউনিটের এক-তৃতীয়াংশ রোগী তাপদাহের শিকার। মাটিতে পড়ে গিয়ে রাস্তায় তাপে তারা এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। শহরটিতে এ পর্যন্ত তাপজনিত কারণে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পোড়ার পাশাপাশি, তাপজনিত অসুস্থতায় হাসপাতালে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রগুলো হিট স্ট্রোকের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে চলছে। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর আনুমানিক ৬০০ মানুষ তাপজনিত অসুস্থতায় মারা যান। মাস শেষে বৃষ্টি হওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও, এখনো সংশয়ে আছেন আবহাওয়াবিদরা। অ্যারিজোনা ছাড়াও আরও নয়টি রাজ্য অত্যধিক তাপ সতর্কতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফ্লোরিডা, টেক্সাস, ওকলাহোমা, নিউ মেক্সিকো, কানসাস, উটাহ, নেব্রাস্কা, কলোরাডো এবং মন্টানার কিছু অংশে তাপসংক্রান্ত পরামর্শ কার্যকর করা রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct