অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট, আপনজন: স্কুলভবনের খুব কাছেই রয়েছে বিদ্যুৎবাহী ১১ হাজার কিলোভোল্টের তার। স্বভাবতই, বিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে মাথায় রেখেই বিদ্যুৎ দফতরের শরণাপন্ন হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। সমস্যার সমাধানের জন্য সোমবার বিদ্যুৎ দপ্তর ও বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তরফে যৌথ পরিদর্শন করাহয়। সমস্যার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেই বিদ্যুৎ দপ্তরে তরফে জানানো হয়েছে।জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর উত্তর চক্রের অন্তর্গত বড়ম গোকুলপুর জু: হাই স্কুলের খুব কাছেই রয়েছে বিদ্যুৎবাহী ১১ হাজার কিলোভোল্টের তার। ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে মাথায় রেখেই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ বিষয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের লিখিতভাবে জানান। এর পরেই এই সমস্যার সমাধানের জন্য এদিন বিদ্যালয়ে যৌথ পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, ডাব্লুবিএসইডিসিএল এর দক্ষিণ দিনাজপুর আঞ্চলিক দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অর্ঘ্য মৈত্র, টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট জাহারুল হক, ১১ নং অশোগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শাহবাজ সরকার, বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহ আরো অনেকে।এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির(ডাব্লুবিএসইডিসিএল)দক্ষিণ দিনাজপুর আঞ্চলিক দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অর্ঘ্য মৈত্র জানান, ‘বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর মত পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায়, খুঁটির উচ্চতা বাড়ি দিয়েই সমস্যা সমাধানের বিষয়টা ভাবা হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে মাথায় রেখে দ্রুত এই কাজ শুরু করা হবে’ অন্যদিকে, এবিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানান, ‘সমস্যার সমাধানে বিদ্যুৎ দফতরে লিখিত ভাবে তার এবং ট্রান্সফর্মার সরানোর দাবি জানানো হয়েছিল। সে বিষয়ে আজ বিদ্যুৎ দফতর থেকে পরিদর্শনে এসেছিলেন।পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির (ডাব্লুবিএসইডিসিএল) দক্ষিণ দিনাজপুর আঞ্চলিক শাখার ম্যানেজার দীপঙ্কর দাস এ বিষয়ে বিশেষভাবে আমাদের সহযোগিতা করছেন।’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct