আপনজন ডেস্ক: আমাদের শরীরে প্রতিদিন নানা উপায়ে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়। শরীর থেকে এসব ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেওয়ার পদ্ধতির নাম হলো ‘ডিটক্সিফিকেশন’। এ ক্ষেত্রে ‘ডিটক্স ওয়াটার’ (পানীয়) পান করা একটি ভালো উপায়। তাজা ফল, সবজি ও ভেষজ উপাদান মিশিয়ে তৈরি এই ডিটক্স ওয়াটার নিয়মিত পান করলে ওজন কমানো, মেটাবলিজম বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোসহ আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায়। বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালসের ফিটনেস নিউট্রিশনিস্ট অ্যান্ড ডায়েট কনসালট্যান্ট পুষ্টিবিদ মুনিয়া মৌরিন মুমু বলেন, শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হওয়ার জন্য দেহের নিজস্ব রাস্তা রয়েছে। তবে ডিটক্স ওয়াটার এমন একটি পানীয় যেটি অনেকাংশে দেহ থেকে এই টক্সিন বের হতে সাহায্য করে থাকে।
ডিটক্স ওয়াটার তৈরির উপাদান : জলর সঙ্গে বিভিন্ন রকম তাজা ফল, সবজি এবং উপকারী ভেষজের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয় ডিটক্স পানীয়। ফল হিসেবে সাধারণত কমলা, মাল্টা, লেবু, জাম্বুরা, গ্রিন আপেল, তরমুজ ব্যবহার করা হয়। এই পানীয় তৈরিতে ব্যবহার করা হয় বিটরুট, শসা, গাজর, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি। ফল এবং সবজির সঙ্গে বিভিন্ন মসলাজাতীয় উপকরণ যেমন- আদা, হলুদ মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই পানীয়। হার্বস হিসেবে ব্যবহার করা হয় পুদিনা পাতা ও রোজমেরি পাতা। এ ছাড়া চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, ইসবগুলের ভুসি সহযোগে তৈরি করা হয় উপকারী পানীয়। ফল কিংবা সবজির নির্যাসসমৃদ্ধ এই পানীয়তে বাড়তি ফ্লেভার যোগ করার জন্য ব্যবহার করা হয় মধু ও আপেল সাইডার ভিনেগার।
উপকারিতা : নিয়মিত ডিটক্স পানীয় পানে আশ্চর্যজনক উপকার পাওয়া যায়। কারো হজমে সমস্যা থাকলে এই পানীয় পান করতে পারেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ডায়েট চার্টে এই পানীয় রাখতে পারেন। ত্বক এবং চুলের যত্নেও ডিটক্স ওয়াটার দারুণ কাজ করে। পুষ্টিবিদ মুনিয়া মৌরিন বলেন, নিয়মিত ডিটক্স পানীয় পান মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, হজম প্রক্রিয়া সহজ করে, মানবদেহে হাইড্রেশন লেভেল, অর্থাৎ জলর ভারসাম্য ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শক্তি বৃদ্ধিতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে ত্বক এবং চুল ভালো রাখে। এ ছাড়া এই ডিটক্স ওয়াটারের উপাদান ফল এবং সবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন-খনিজ পাওয়া যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct