আপনজন ডেস্ক: ‘মোদি’ উপাধি নিয়ে মন্তব্যের জন্য কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানিমামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ওপর আজ শুক্রবার স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত তার রায়ে বলেছে, বিচারক এই মামলায় সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং যদি সাজা এক দিন কম হত তবে এটি অযোগ্য বলে বিবেচিত হত না। ২০১৯ সালের মানহানি মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হওয়া ভুল, সম্পূর্ণ বিকৃত এবং সংসদ সদস্য হিসাবে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য তাকে এমনভাবে সাজা দেওয়া হয়েছিল বলে এপ্রিলে সুরাটের একটি দায়রা আদালতকে জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি। তিনি বলেছিলেন যে নিম্ন আদালত তার সাথে কঠোর আচরণ করেছিল, যা সাংসদ হিসাবে তার অবস্থান পাল্টে যায়। যদিও সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কোনও সন্দেহ নেই আবেদনকারীর বক্তব্যগুলি ভাল ছিল না, আবেদনকারীর বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল। রায়ে আরও বলা হয়, অযোগ্য ঘোষণার প্রভাব শুধু ব্যক্তির অধিকারকেই প্রভাবিত করে না, ভোটারদেরও প্রভাবিত করে।
তার আইনজীবী আদালতে যুক্তি দিয়েছিলেন যে হাইকোর্ট তার রায় ৬৬ দিনের জন্য সংরক্ষিত রেখেছিল এবং এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যে সংসদের দুটি অধিবেশন হারিয়েছেন। সংসদে উপস্থিত থাকার জন্য ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য খালাস পাওয়ার এটাই রাহুল গান্ধির শেষ সুযোগ। বিচারপতি বি আর গভাই, বিচারপতি পি এস নরসিমা এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ রাহুল গান্ধীর সাজা স্থগিতের আবেদনের শুনানি করছিল। এর আগে গুজরাট হাইকোর্ট ফৌজদারি মানহানি মামলায় তার সাজা স্থগিত করতে অস্বীকার করেছিল। তখন রাহুল গান্ধির আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, বিচার শেষ হয়েছে, এমনকি রাহুল গান্ধিকে দোষী সাব্যস্তও করা হয়েছে। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct