আপনজন ডেস্ক: কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের মতে, ২০১৬-২০২১ সময়কালে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ভর্তির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষকদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজ্যসভায় একটি লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রীর উপস্থাপিত তথ্য অনুসারে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ভর্তির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯.২২ লক্ষ, যা ২০১৬-১৭ সালে ছিল ১৭.৩৯ লক্ষ। এর ফলে পাঁচ বছরে উচ্চশিক্ষাগ্রহণকারী ১.৮৩ লক্ষ মুসলিম শিক্ষার্থীর উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে।
উপরন্তু, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এই সংখ্যা ৮৬,৩১৪ এ পৌঁছেছে, যা ২০১৬-১৭ সালে ৬৭,২১৫ ছিল। ২০২০-২১ সালের অল ইন্ডিয়া সার্ভে অন হায়ার এডুকেশন (এআইএসএইচই) থেকে এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে। জরিপটি ভারতে উচ্চশিক্ষার অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য সরকার কর্তৃক গৃহীত একটি বিস্তৃত বার্ষিক অনুশীলন।
এই উন্নয়নের আলোকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার উল্লেখ করেছেন, সরকার বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করছে। বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, মুসলিম, শিখ এবং জরথুস্ট্রিয়ান - এই ছয়টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষাগত ক্ষমতায়নের জন্য কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক তিনটি শিক্ষাগত ক্ষমতায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ভর্তি বৃদ্ধি এবং মুসলিম শিক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধিকে সমাজের সকল শ্রেণীর জন্য অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষার সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার দিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসাবে দেখা যেতে পারে।
বাস্তবে অবশ্য দেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের স্কুলছুটের হারও খুব একটা কম নয়। কারণ মেয়েদের মতোই ছেলেদের মধ্যেই উচ্চশিক্ষার সুযোগ খুবই কম। যার প্রভাব পড়ছে মুসলমান সমাজে। স্বাক্ষরতার পাশাপাশি শিক্ষগত অগ্রগতিতেও পিছিয়ে পড়ছে এই সম্প্রদায়। পরিসংখ্যান বলছে, স্কুল ছুটের জাতীয় গড় ১৮.৯৬ শতাংশ। সেখানে মুসলিমদের মধ্যে এই হার হল ২৩.১ শতাংশ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct