আব্দুস সামাদ মন্ডল, ফুরফুরা: ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে হুগলি জেলার ফুরফুরা একটি পবিত্র তীর্থস্থান। পীর তথা সমাজ সংস্করক আবু বকর সিদ্দিকী (দাদা হুজুর) রহ.-এর স্মৃতি বিজড়িত ফুরফুরা শরীফে ভোটের আগে পরে সহ সারা বছরই রাজনৈতিক নেতাদের যাতায়াত লেগেই থাকে। ফুরফুরা শরীফের উন্নয়নকল্পে সাড়ে ৫৮ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম একথা জানিয়েছেন, ফুরফুরার উন্নয়নে মোট ৫৮ কোটি ৬২ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৯২ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ফুরফুরা শরিফ উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে ওই টাকা খরচ করা হবে। বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশনে ফিরহাদের ঘোষণার পর ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা তথা ভাঙ্গড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী প্রশ্ন করেন, ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদের অফিস কোথায়? জবাবে ফিরহাদ বলেন, এখনও কোনও অফিস আমরা পাইনি। ওখানে একটা পরিত্যক্ত জায়গা পাওয়া গিয়েছে। সেখানেই অফিস হবে। ফুরফুরা শরীফের গেটের পাশে যে জমি রয়েছে সেখানেই অফিস, মুসাফিরখানা হবে। আপাতত শ্রীরামপুরে মহকুমা শাসকের অফিস থেকে কাজ চলবে।ফুরফুরা শরীফ ভারতবর্ষের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম তীর্থস্থান বলে দাবি করেন সেখানকার পীরজাদারা। কূটনৈতিক মহলের অনুশোচনা এই তীর্থস্থান কে হাতে রেখে মুসলিম ভোট ব্যাংক বজায় রাখা সম্ভব তাই সব রাজনৈতিক দলই ছুটে আসেন ফুরফুরা শরীফে।বামজমানায় ফুরফুরা শরীফের সঙ্গে একটা সমন্বয় রাখতেন হুগলীর প্রয়াত সিপিএম নেতা সুনীল সরকার।
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পূর্বে, একটু একটু করে ফুরফুরা শরীফের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।ফুরফুরার পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে তৃণমূলের তৎকালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের সম্পর্ক এবং ঘনিষ্ঠতা রাজ্য রাজনীতিতে সুবিদিত ছিল। এমনকি বিজেপির বেশ কয়েকটি নেতা সহ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও দেখা গেছে ফুরফুরা শরীফে। সেই সময়ে ঔপচারিকতা সারতে অন্য দলের নেতারা গেলেও ফুরফুরা কার্যত তৃণমূলের হয়ে গিয়েছিল বলেই জানতেন রাজনীতিকরা। তৃণমূল সরকার শাসক দল হওয়ার পর ফুরফুরা শরিফে উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করা হয়। তার চেয়ারম্যান করা হয় ফিরহাদ হাকিমকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct