সেখ রিয়াজুদ্দিন ও আজিম সেখ, বীরভূম, আপনজন: দীর্ঘদিন যাবত ভুতুড়ে সাইরেন বেজে চলেছে বিশেষ করে রাত্রের দিকে।যারফলে এলাকার লোকজন বিকট শব্দের কারনে তিতিবিরক্ত বোধ প্রকাশ করেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় মানুষজন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।কিন্তু কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় শেষ পর্যন্ত জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার, স্থানীয় বিডিও, প্রধান সহ সমস্ত সরকারি আধিকারিক স্তরে ইমেইল মারফত ভুতুড়ে সাইরেন বন্ধের ব্যাপারে আবেদন জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি মল্লারপুর শাখার স্টেট ব্যাঙ্কের। সাইরেন বাজানো কে কেন্দ্র করে স্থানীয় গ্রামবাসীদের লিখিত অভিযোগ অনুসারে জানা যায় যে, স্টেট ব্যাঙ্কের মল্লারপুর শাখায় সচেতনতা সাইরেন ইনস্টল করা আছে। যাহা চুরি ডাকাতি বা অন্য কোন সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে। কিন্তু সমস্যা হল কোন নির্দিষ্ট সময় এবং নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ব্যাঙ্ক বন্ধ হওয়ার পর থেকেই পরের দিন ব্যাঙ্ক খোলার আগে পর্যন্ত ৫ থেকে ৭ মিনিটের জন্য অপ্রয়োজনীয় ভাবে সাইরেন বেজে চলে। প্রতি রাত্রে এক থেকে একাধিকবার এরূপ শব্দে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সাইরেনের আওয়াজে ছোট্ট শিশু থেকে অসুস্থ রোগী বা হৃদরোগীর ক্ষেত্রে বিকট আওয়াজ সহ্য করা কষ্টকর হয়ে ওঠে। ফতেপুর বাজার ও মল্লারপুর স্টেট ব্যাঙ্ক সংলগ্ন পাড়ার বাসিন্দারা যাহা ব্যাঙ্কের ১ থেকে ৪০ মিটারের মধ্যে বসবাসকারীরা এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।সেই সাথে সেই মুহুর্তে ঐ পথ দিয়ে যাতায়াতকারী ব্যাক্তিদের মধ্যে ও বিরক্তিবোধ প্রকাশ পায়। ইতিপূর্বে কতৃপক্ষের নিকট যৌথ আকারে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাদের আরো বক্তব্য যে,এটা যেন রাখালের পালে বাঘ পড়ার গল্পের মত অবস্থা। গতকাল ফের একবার ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে ইংরেজি, বাংলা ও হিন্দি তিনটি ভাষাতেই আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয় বলে অভিযোগকারীদের দাবি। স্থানীয় ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজার মিকি লাকরা জানান, গত তিনদিন আগে আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। একটা গণ সাক্ষরিত স্মারকলিপি পেয়েছি। আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। একইসঙ্গে ভেন্ডারকে সাইরেন সারানোর জন্য মেল করেছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct