সারিউল ইসলাম, জিয়াগঞ্জ, আপনজন: মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম একটি উচ্চ শিক্ষা কেন্দ্র জিয়াগঞ্জ শ্রীপৎ সিং কলেজ। ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে জিয়াগঞ্জের এক জমিদার শ্রীপৎ সিং দুগার কলেজ তৈরির জন্য নিজের রাজপ্রাসাদিক বাড়ি দান করেন। ১৯৪৯ সালের মে মাসের ১ তারিখ শ্রীপৎ সিং দুগারকে সভাপতি করে তৈরি হলো কলেজের গভর্নিং বডি। কলেজের নামকরণ হলো শ্রীপৎ সিং কলেজ। সেদিনই শ্রীপৎ সিং কলেজকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। লালবাগ মহকুমা সহ এলাকার মধ্যে এটিই ছিলো সর্বপ্রথম কলেজ।১৯৪৯ সালের ১লা আগস্ট কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগেশচন্দ্র ভট্টাচার্য, তিনজন পূর্ণকালীন অধ্যাপক, একজন কেরানী, একজন গ্রন্থগারক, একজন হেল্পার এবং ৪২ জন ছাত্র নিয়ে শুরু হলো কলেজের পথ চলা।চলতে চলতে ২০২৩ সালের ১লা আগস্ট, শ্রীপৎ সিং কলেজের ৭৫ বছর পূরণ হলো। সেই উপলক্ষে প্ল্যাটিনাম জুবলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন সকালে জিয়াগঞ্জ শহর জুড়ে করা হয় পদযাত্রা। এবং তারপর শ্রীপৎ সিং দূগারের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্য দানের পর করা হয় বৃক্ষরোপণ, এবং তারপর শুরু হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ কমল কৃষ্ণ সরকার, শ্রীপৎ সিং দুগারের বংশধর সঞ্জয় সিং দুগার, কলেজের অন্যান্য অধ্যাপক অধ্যাপিকারা এবং কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। শ্রীপৎ সিং দুগারের নাতি সঞ্জয় সিং দুগার বলেন, ‘এটা ছিল শ্রীপৎ সিং দুগার ও দুগার পরিবারের রাজপ্রাসাদিক বাড়ি। আমার দাদু শ্রীপৎ সিং দুগার দানি ব্যাক্তি ছিলেন। কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মশালা সহ অন্যান্য জায়গাতে দান করতেন তিনি। ১৯৪৯ সালে নিজের বাড়ি সহ কিছু টাকা দিয়েছিলেন কলেজ তৈরির জন্য। সেই কলেজের নাম রাখা হয় শ্রীপৎ সিং কলেজ। পরবর্তীতে তার স্ত্রীর নামে জিয়াগঞ্জে আরো একটি কলেজ তৈরি হয় রানী ধন্যা কুমারী কলেজ। দাদু চাইতেন যুব সমাজের যাতে উন্নতি হয়, সেজন্য এই কলেজ তৈরি।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct