আমীরুল ইসলাম, বোলপুর, আপনজন: ফের জমি সংঘাত অব্যাহত বিশ্বভারতীতে। “শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের” নামে থাকা বাঁধ দখলের অভিযোগ বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে। বোলপুরের সমষ্টি ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের দ্বারস্থ শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। জমি নিয়ে বিশ্বভারতী ও অমর্ত্য সেনের সংঘাতের মাঝেই এবার নয়া চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিশ্বভারতী কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের “শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের” নামে থাকা বাঁধ দখলের অভিযোগ বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে। ট্রাষ্টের সম্পাদক দারস্থ হয়েছেন বোলপুরের সমষ্টি ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের দপ্তরে।শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোণারের দাবি, রায়পুরের জমিদাররা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কে বেশ কিছু জমি প্রদান করেছিলেন। সেই জমি “শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের” নামে দেওয়া হয়েছিল। ১৮৮৮ সালের ডিড অনুযায়ী শান্তিনিকেতনের ভুবন ডাঙ্গার উপর বাঁধ যা “ভুবন বাঁধ সাগর মহল্লা” নামে পরিচিত। ডিডে তা উল্লেখ রয়েছে। যার দাগ নম্বর ১৫৮ এবং ১৩০। সেই বাঁধ কিভাবে বিশ্বভারতীর কর্মসচিবের নামে হয়ে গেল ? তা জানতে চেয়ে ভূমি দপ্তরে আরটিএই করেছি। ১৩ শতক জমি অমর্ত্য সেন হরফ করে রেখেছেন এমনটাই অভিযোগ করেছে বিশ্বভারতীর। পাশাপাশি বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ কে নানান কু কথা বলেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। সমাজের বিশিষ্টজনেরা অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এরই মাঝে এবার খোদ বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের বাঁধ দখল করার। যা নিয়ে আবারো নতুন করে বিতর্ক শুরু হল এ রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীতে।এই পুরো ঘটনায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct