আপনজন ডেস্ক: হাই তোলা ঘুমের অভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্নতার লক্ষণ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কেউ যদি অতিরিক্ত হাই তোলে তবে এটি শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এমনিতে হাই তোলা ক্লান্ত বা বিরক্ত বোধের একটি খুব সাধারণ লক্ষণ। চিকিৎসকদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট হরমোনের কারণে হাই তোলা হয় যা সাময়িকভাবে হৃদস্পন্দন এবং অ্যালার্টনেস বাড়ায়। এই কারণেই কেউ যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে সতর্ক করার জন্য হাই তোলে শরীর। কেউ যদি ১৫ মিনিটে তিন বারের বেশি হাই তোলে তাহলে তা স্বাভাবিক নয়। ফলে কেউ যদি বারবার হাই তোলে, তাহলে তাকে এখন থেকেই সাবধান হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অতিরিক্ত হাই তোলার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হতে পারে ঘুমের অভাব। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি স্লিপ অ্যাপনিয়া বা অনিদ্রার কারণও হতে পারে। স্লিপ অ্যাপনিয়া একটি গুরুতর ঘুমের ব্যাধি যেখানে শ্বাস-প্রশ্বাস বারবার বন্ধ হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ পরে আবার শুরু হয়। আপনি যদি জোরে নাক ডাকেন এবং পুরো রাতের ঘুমের পরেও ক্লান্ত বোধ করেন তবে আপনার স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে। অনিদ্রার পাশাপাশি আপনার ঘুমিয়ে পড়তে, ঘুমিয়ে থাকতে বা ভালো মানের ঘুম পেতে সমস্যা হতে পারে। আপনার ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশ এবং ঘর থাকলেও এটি ঘটতে পারে। কেউ কেউ বেশি ওষুধ সেবন করলেও তার অতিরিক্ত হাই উঠতে পারে। কিছু অ্যান্টিসাইকোটিকস বা অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হাই তোলার আকারে প্রকাশ পেতে পারে। তাই প্রেসক্রিপশন ছাড়া এ জাতীয় কোনও ওষুধ সেবন করা যাবে না। যদি কারো আশপাশে অক্সিজেনের অভাব থাকে, তাহলে তার হার্ট অ্যাটাকের মতো অবস্থা হতে পারে এবং সে আরও বেশি হাই তুলতে পারে। কিন্তু কেউ যদি বেশি হাই তোলে তার মানে এই নয় যে তার হার্ট অ্যাটাক হবে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। অতিরিক্ত হাই তোলা মস্তিষ্কের ব্যাধির লক্ষণ হতে পারে। পারকিনসন্স ডিজিজ, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এবং মাইগ্রেনের মাথাব্যথার মতো অবস্থাও অত্যধিক হাই তোলার কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত হাই তোলা দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপের কারণে হতে পারে। এই সব লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct