মনিরুজ্জামান, বারাসত, আপনজন: গত ৪ জুলাই মঙ্গলবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ব্লকের সোহাই শ্বেতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংআটি গ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে দুষ্কৃতিদের ছোড়া বোমায় নিহত হয় একাদশ শ্রেণির ছাত্র বছর ১৬ -র কিশোর ইমরান হাসান। এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায়। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে ছিলেন, নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক হিংসায় দলমত নির্বিশেষে যারা খুন হয়েছেন তাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে ২ লক্ষ টাকা এবং পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কথা রেখেছেন। বুধবার নিহত ইমরানের পরিবারের হাতে রাজ্য সরকারের ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। এদিন দেগঙ্গা ব্লকের বি ডি ও সুব্রত মল্লিক এবং দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের ৪২ নম্বর আসনের বিজয়ী মফিদুল হক সাহাজি নিহত ইমরানের বাবা এমদাদুল হক, মা মমতাজ বেগম এবং দাদা মেহেদি হাসানের হাতে এই চেক তুলে দেন।সঙ্গে সঙ্গে ইমরানের দাদা মেহেদি হাসানের চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও তাঁরা সংগ্রহ করে নেন।এই সাহায্য পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ইমরানের পরিবার। এমদাদুল হক বলেন,কষ্ট হয়। মফিদুল হক সাহাজি বলেন, অর্থ দিয়ে তো আর ক্ষত, যন্ত্রণা,ব্যথা নিরসন করা সম্ভব নয়।তবুও সংসার জীবনে বাঁচার জন্য যেটুকু করণীয় সেটা বাংলার জনদরদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বুথ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হাসনা হেনা ৭৬৮ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এই পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান রিঙ্কু সাহাজি, সদ্য নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা নাতেকা নাসরিন, হাসনা হেনা সহ আরও অনেকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct