আপনজন ডেস্ক: অশান্ত ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলা সামলানোর দায়িত্ব কলকাতা কলকাতা পুলিশের কাঁধে সঁপে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার আলিপুর বডিগার্ড লাইনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বারুইপুর জে্লা পুলিশের হাত থেকে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায নিয়ে আসার কথা জানান। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ভাঙড়ের জন্য নতুন ডিভিশন খোলার নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিকদের মতে, সময়োপযোগী সিদ্ধাম্ত নিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য প্রশাসনের কাছে বড় অস্বস্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভাঙড়। মনোনয়ন পর্ব জমা দেওয়ার আগে যে অশান্তি শুরু হয়েছিল, তা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরেও জারি রয়েছে। বোমাবাজি থেকে গুলির লড়াই কিছুই বাদ যায়নি। দুই পক্ষের গুলির লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মীও প্রাণ হারিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, এলাকার ক্ষমতা দখলে রাখতে পরিকল্পিতভাবেই অশান্তি পাকাচ্ছে নওশাদ সিদ্দিকির আইএসএফ। যদিও ভাঙড়ের বিধায়ক অশান্তির দায় রাজ্যের শাসকদলের কাঁধেই চাপিয়ে দিয়েছেন।নতুন করে যাতে আর অশান্ত হতে না পারে তার জন্য ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। ১৪৪ ধারা জারির পরে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু বারুইপুরের পুলিশ আধিকারিকরা সংবেদনশীল এলাকা ঠিকমতো সামলাতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাই কলকাতা পুলিশের হাতেই ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ভার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অনেক দিন ধরেই বলছি, বারুইপুর জেলা পুলিশ, কাশীপুর থানা কাজ করতে পারছে না। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা তাতেই সিলমোহর দিল। এতে যদি ভাঙড়ের মানুষ শান্তিতে থাকে তাহলে ভালই। আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি।’ পাশাপাশি পুলিশ দিয়ে ভাঙড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হলে তা বিধায়ক হিসাবে তিনি মেনে নেবেন না বলে জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct