দেবাশীষ পাল, মালদা, আপনজন: বামনগোলার পাকুয়াহাট এলাকায় চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। সেই ঘটনায় সেই দুই নির্যাতিতাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অবশেষে বামনগোলায় সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেলেন ওই নির্যাতিতা ২ মহিলা। মঙ্গলবার সকালে জেলা আদালত এক নির্দেশে ওই দুজনকে ছাড়ার কথা বলে। সেই নির্দেশ আসতে আসতে সন্ধে গড়িয়ে যায়। জেলা আদালত থেকে কাগজপত্র জেলা সংশোধনাগারে পৌঁছনোর পর রাতে তাদেরকে জামিনে মুক্তি দেওয়অ হয়। তারা মুক্তি পেতেই তাদের পরিবারের মধ্যে আনন্দের ঢ্নেউ ওঠে। তবে, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মালদার দুই নির্যাতিতা মহিলাকে মালদার রথবাড়ি এলাকায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা জানানো হয়। নতুন শাড়ি, ফুলের মালা এবং কিছু খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে মালদার দুই নির্যাতিতা মহিলাকে সংবর্ধনা জানায় তারা। উল্লেখ্য, বামনগোলার পাকুয়াহাট এলাকায় চোর সন্দেহে যে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল তাদের বাড়ি মানিকচক এলাকায়। তারা শুটকি মাছ নিয়ে গত মঙ্গলবার পাকুয়াহাটে গেছিলেন বিক্রি করতে। সেখানে চোর সন্দেহে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। এই ঘটনার পর মারধরে যুক্ত দোষীদের গ্রেপ্তার না করে ওই দুই নির্যাতিতা মহিলাকে গ্রেফতার করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশ দুই মহিলাকে মারধরের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করে পরে। এদিকে পাকুয়াহাটের পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগে জেলে পাঠানো হয় দুই মহিলাকে বলে জানা যায়। ঘটনার প্রতিবাদে ঝড় উঠে গোটা জেলা জুড়ে। এদিন জামিনে মুক্ত হওয়ার পর ২ নির্যাতিতা মহিলা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, পুলিশ মিথ্যে মামলায় তাঁদের গেপ্তার করেছে। চোর সন্দেহে গণপিটুনি খেয়ে তারাই গ্রেফতার হন। গেপ্তার করা হয়। যদিও তাঁরা ওই ঘটনার সময় সেখানে হাজির থাকার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। দুটি পৃথক ঘটনা। পুলিশ কোনও অজুহাত না পেয়ে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct