আপনজন ডেস্ক: যে দেশে কদিন আগেও ফুটবল নিয়ে খুব মাথাব্যথা ছিল না সেই তারাই এখন ফুটবলে বুঁদ হয়ে আছে। বলছি যুক্তরাষ্ট্রের কথা, যে দেশ এখন লিওনেল মেসি নামক ফুটবল জাদুকরের জাদুতে মন্ত্রমুগ্ধ! মেজর লীগ সকারের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে অভিষেকে গোল করে সেই উন্মাদনা যেন আরও বাড়িয়ে তুলেছেন মেসি। শুধু সমর্থকরা নয় সতীর্থরাও মজেছে মেসি উন্মাদনায়। সেটা এতটাই বেশি যে ম্যাচের পর মেসির প্যান্টও চুরি করেছেন তারা। ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর তরুণ মিডফিল্ডার বেঞ্জামিন ক্রিমাশ্চি জানিয়েছেন পুরো ঘটনা। লীগ কাপে শুরুর একাদশে ছিলেন না মেসি। ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে ক্রিমাশ্চির বদলি হিসেবে নামানো হয় তাকে। ফলে মাঠে মেসির সঙ্গে খেলা হয়নি তার। তবে এ নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও বেঞ্চে বসে মেসি-ভক্ত হিসেবে খেলা উপভোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই ফুটবলার। ক্রিমাশ্চির মতে মেসির আগমণে দলের আবহ পাল্টে গেছে। এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘সবাই তার কাছ থেকে জার্সি খুঁজছিল। তারা এমনকি তার (মেসি) প্যান্টও চুরি করে নিয়ে গেছে।’ মেসিকে মাঠে নামানো হয় তার বদলি হিসেবে। তিনি মাঠ থেকে উঠে আসা আর মেসির মাঠে নামা, পুরো বিষয়টাই সিনেমার মতো মনে হয়েছে ক্রিমাশ্চির। মেসিকে অভ্যর্থনা জানানো স্বপ্নের মতো বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ক্রিমাশ্চি বলেন, ‘আমি খুবই খুশি। আমি একটা সিনেমার মধ্যে ছিলাম। যখন আমাকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হলো, তখন আমি আর তার সতীর্থ ছিলাম না। আমিও আরেকজন ভক্ত হয়ে গেলাম। আমি অবশ্য তার সঙ্গে খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যখন আমি আমার নম্বর দেখলাম, তখন বললাম, “আহ, কী দুঃখজনক ব্যাপার!” কিন্তু তাকে অভ্যর্থনা জানানো ছিল স্বপ্নের মতো একটি ব্যাপার। একেবারে পাগলামি। মেসি মাঠে নামার পর ক্রিমাশ্চি তার সিটে বসেই বাকি খেলা দেখেছেন। শুধু তাই নয় মেসি ফ্রি কিক নেওয়ার আগেই নাকি আন্দাজ করেছিলেন কী হতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘ফ্রি কিকের আগে আমি সতীর্থদের বলেছিলাম, ‘এভাবেই সবকিছু শুরু হয়, এভাবেই সিনেমা শুরু হয়। আশা করছি, সেভাবেই এটা শেষ হবে।’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct