আপনজন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বহু কোটি টাকার স্কুল নিয়োগ কেলেঙ্কারির ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গ্রেফতারির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চার দিনের অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২৪ শে জুলাই এই বিষয়ে আবার শুনানি হবে এবং ততক্ষণ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি ব্যানার্জির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা দেওয়ার সময় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের একক বিচারপতির বেঞ্চ মৌখিকভাবে বলেছিল যে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে যদি তাদের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে শক্ত প্রমাণ থাকে। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পি এস নরসিমার ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করে এবং এর পরিবর্তে পরামর্শ দেয় যে ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪৮২ ধারার অধীনে হাইকোর্টে আবেদন করার জন্য ব্যানার্জির পক্ষে উন্মুক্ত। সেই অনুযায়ী ব্যানার্জির আইনজীবী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন, যা তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন স্বস্তি দেয়। এদিন বিচারপতি বলেন, ‘আমরা ইডি-র কাছে জানতে চাই অভিষেককে হেফাজতে নিয়ে গ্রেফতার করার দরকার আছে কি না?’ইডি-র তরফে আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ইডি অভিষেককে ফের করে তলব করার পরিকল্পনা করেছে, সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না। ইডি আরও জানিয়েছে, গত ১৪ জুন ডাকা হয়েছিল অভিষেককে। কিন্তু তিনি ভোটে ব্যস্ততার কথা বলে হাজিরা দেননি। অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডি-র কাছে পর্যাপ্ত নথি আছে বলেও জানানো হয়।উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একক বেঞ্চ প্রথমে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে স্কুল নিয়োগ মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়। পরে বিষয়টি বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে স্থানান্তরিত করা হয়, যা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আদেশ বহাল রাখে। অভিষেক তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গেলেও কোনও রক্সাকবচ পাননি। তবে নির্দেশ ছিল, প্রয়োজনে মামলা দায়ের করতে পারেন অভিষেক। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডি-কে আগেই এফআইআর করে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর এফআইআর করে ইডি। সম্প্রতি এই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো( সিবিআই)। পরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে, যা তিনি এড়িয়ে যান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct