আজিজুর রহমান, গলসি, আপনজন: বাস্তবে জলের অপর নাম জীবন হলেও গলসির পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাড়ুল গ্রামের আদিবাসী পাড়ার ছবিটা কিন্তু উল্টো। এখানে কল আছে ট্যাংকও আছে, তবে জল নেই। বছর খানেক আগে নতুন নীলসাদা রং করা, তাই এখনও চকচকে করছে রং। সিমেন্টের খুটি নির্মাণ করে উপরে বসানো রয়েছে কালো রংয়ের জলের ট্যাংক। পাশেই রয়েছে সাবমার্সিবাল ও জলের পাইপ লাইন। তাহলে তো মাটির নিচে থেকে জল তুলে তা ট্যাংকে ভরে পরিসেবা দেওয়ায় কথা। ছবি দেখে তো তাই মনে করবেন সবাই। কিন্তু দিনভর কল ঘোরালেও পরছে না এক ফোঁটা জল। আর এতেই চরম জল সংকটে ভুগছেন পূর্ব বর্ধমানের গলসির ঝারুল গ্রামের আদিবাসী পাড়ার মানুষরা। গ্রামবাসী স্মল বাসকি, মদন টুডু, রুপলাল হেমরম, মোহন টুডুরা বলেন, তারা সবাইকে বলেছে। কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। একবছর হয়ে গেছে তবে জল চালু হয়নি। তাদের দাবী কেউ টাকা মেরে বোড লাগিয়ে চলে গেছে। জানা গেছে, রাজ্য বাসীর জলকষ্ট মেটাতে উদ্দোগ নিয়েছে সরকার। ফলে চালু হয়েছে বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প। সেই মতো জানুয়ারি ২০২২ সালে পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্দ্যোগে ৪,৬৯,৫৫৭/- টাকা ব্যায়ে ওই ক্ষুদ্র জলপ্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। জন পরিসেবা দিতে সাবমার্সিবল ও ২০ টি কল সহ জল ট্যাংকটি নির্মানের বরাত পায় কার্তিক ঘোষ নামে এক ঠিকাদার। তবে শুরু থেকে সেখানে জলই পরেনি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি ২০ টি কলের অস্তিত্ব। বিষয়টি নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্মাণ সহায়ক চন্ডীচরন বাগ বলেন, এই বিষয়ে আমি অফিসিয়ালি ভাবে কিছু বলতে পারবো না। আপনি পঞ্চায়েত প্রধানের সাথে কথা বলুন বলে এড়িয়ে যান। বিল ছাড়া হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটা আমার না বলাই ভাল। যদিও কাজটি করা হবে বলে জানান জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি দেবু টুডু। তার আশা শীঘ্রই পাওয়া যাবে পানীয় জল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct