নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: ভোটে জেতার পর হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং আসনের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী নুরেসা বিবি র স্বামী সঞ্জুর আলম কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন বলে খবর। সোমবার রাতে কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগমারা গ্রামে সঞ্জুর আলমের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন মালদা জেলা পরিষদের সদস্য জম্বু রহমান,১৫ নং জেলা পরিষদের জয়ী প্রার্থী বুলবুল খান ও হরিশ্চন্দ্রপুর ১৩ নং আসনের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী মকরম আলি ওরফে স্বপন আলি।এদিন তৃণমূলে যোগদানের খবর চাউর হতেই কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কংগ্রেসের নেতা কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।তৃণমূলে যোগদান করে সঞ্জুর বলেন ‘দীর্ঘ দশ বছর ধরে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।স্থানীয় কিছু নেতার কারনে ক্ষোভে আমাকে তৃণমূল ছাড়তে হয়।এবার পঞ্চায়েত সমিতিতে কংগ্রেস থেকে টিকিট নিয়ে আমার স্ত্রী ৫৮৮ ভোটে জিতেছে। তাই আমি আবার তৃণমূলে ফিরলাম।’ কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের সভাপতি সোনাতন দাস জানান, পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থী নুরেসা বিবি তৃণমূলে যোগদান করেননি। আর তিনি কখনো যোগদান করবেন না । তার স্বামী সঞ্জুর আলমকে ভুলভাল বুঝিয়ে তৃণমূলে জোগদান করিয়েছে।তবে তার ভুল ভাঙ্গলেই আবার কংগ্রেসে ফিরে আসবে বলে আত্মবিশ্বাসী। কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের ৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে মোট ২১ টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন রয়েছে। এরমধ্যে তৃণমূল ১০টি ও জোট ১১ টি আসনে জয়যুক্ত হয়েছে। তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।তাই তারা বিভিন্ন টোপ দিয়ে জোটের জয়ী প্রার্থীদের নিজের দলে টানার চেষ্টা করছে।তবে তৃণমূল কখনো পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করতে পারবেন না বলে আশাবাদী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct