আপনজন ডেস্ক: বছর খানেক আগে মুম্বাইয়ের এক আবাসন সংস্থা বিজ্ঞাপনে বলেছিল, তাদের আবাসেন কোনও সংখ্যালঘু ব্যক্তির প্রবেশ নেই। তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছিল হিন্দু মুসলিমের সহাবস্থান নিয়ে এই সাম্প্রদায়িক মনোভাব দেশের জন্য ক্ষতিকর। আসলে বিজেপি কেন্দ্রে শাসনে আসার পর থেকে হিন্দু মুসলিমের মধ্যে বিভেদের ফাটল আরও চওড়া হয়েছে। তার রেশ গিয়ে পড়ছে কখনও উত্তরপ্রদেশ কখনও উত্তরাাখণ্ডে। এবার যোগী রাজ্যে এক সাম্প্রদায়িক মনোভাবের প্রকাশ ঘটালেন খোদ মেয়র। কানপুরের মেয়র প্রমীলা পান্ডে গত ১৮ জুলাই উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে এমন একটি নিয়ম আনার দাবি জানান, যাতে কোনও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ হিন্দুদের বাড়ি কিনতে না পারে। শহরের মুন্সি পূর্বা এলাকায় পৌঁছানোর পর পান্ডে বলেন, “আমি আমার সরকারের কাছে দাবি করব, কোনও মুসলিম কোনও হিন্দুর বাড়ি বা সম্পত্তি কিনতে পারবে না এবং কোনও হিন্দু কোনও মুসলমানের বাড়ি কিনতে পারবে না। শ্রীমতী পান্ডে মন্দির প্রাঙ্গণে আবর্জনা দেখে রেগে যান। তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘হিন্দুরা মনে করে তারা (মুসলিমরা) বেশি টাকা দিচ্ছে, তাই তাদের (হিন্দুদের) বাড়ি বিক্রি করে দিন। মিসেস পান্ডে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরে, তিনি ১২৫টি মন্দির পুনরুদ্ধার শুরু করেছিলেন যা খারাপ অবস্থায় ছিল। পান্ডে বলেন, আমরা দেখেছি যে এই মন্দির এলাকা দখল করে আছে মুসলিমরা। যদিও আমরা তাদের (মুসলমানদের) বিরুদ্ধে নই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ‘সবকা সাথ’-এর কথা বলেন, কিন্তু মন্দিরে বর্জ্য, ময়লা ফেলার কারণে আমরা তাদের আচরণ/মানসিকতায় ক্ষুব্ধ। তবে, কানপুরের মেয়রের এই সাম্প্রদায়িক বিভাজনের মনোভাব ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct