সেখ রিয়াজুদ্দিন ও আজিম সেখ, বীরভূম, আপনজন: মেধা,পরিশ্রম ও অধ্যবসায় এর জেরে আজ কৃষকের ছেলে চন্দ্রযান-৩ যানের সফল উৎক্ষেপক বীরভূম জেলার মল্লারপুর এলাকার দক্ষিণ গ্রামের বিজয় কুমার দাই। শুক্রবার সকাল থেকে তার পরিবার সহ আত্মীয় স্বজনদের চোখ ছিল টিভিতে। বিজয়ের মা এক গৃহবধূ, নিরক্ষর। পড়াশোনার নেশায় বুঁদ ছিল সে ছোটো থেকেই। তা তার মা শ্যামলী দাই সেই কথা সহ ছেলের বিভিন্ন দিকের কথা শোনান। বাবা নারায়ণ চন্দ্র দাই এনভিএফ কাজে নিযুক্ত ছিলেন। সেই সাথে সামান্য কিছু জমি চাষ করে সংসারের ঘানি টানতে হয়। বহু কষ্টের মধ্যে ছেলেদের পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বিজয়রা তিন ভাই। বড় ভাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ছোট ভাই বাংলায় মাস্টার ডিগ্রী করে বর্তমানে বাড়িতে চাষের কাজে যুক্ত। লক্ষীনারায়ণ লীলা বদি স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিজয়ের পড়াশোনা শুরু। জগৎ তারিনী বিদ্যায়তন থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাস। এরপর বেলুড় থেকে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা। গত ২০০৭ সালে বেঙ্গালুরুতে ইসরোতে মহাকাশ বিজ্ঞান হিসেবে কর্মরত। ইসরোর গবেষণাগারে বসে চন্দ্রযান ‘থ্রি’র সফল উৎক্ষেপণে অংশ নিয়েছেন মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রামের দাই পাড়ার এই বাসিন্দা। তিনি ইসরোর ইলেকট্রিক টিমের অন্যতম সদস্য। বিশ্বজোড়া খ্যাতির কর্মকাণ্ডে ছেলের অংশগ্রহণে গর্বিত বিজয়ের বাবা-মা থেকে শুরু করে গ্রামবাসী সহ জেলাবাসী। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্গালোরে ইসরোতে সিনিয়র তথ্য সম্প্রচারকের দায়িত্বে রয়েছেন। সমগ্র বিশ্বের নজর রয়েছে চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপন বিষয়ে। সম্প্রতি তা উৎক্ষেপন করা হয়েছে। কিছুদিন পরই তা পৌঁছবে চাঁদে। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ তেও তিনি ইসরোতে তথ্য সম্প্রচার বিভাগে দায়িত্বে ছিলেন। এবারও সিনিয়র রুপে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বীরভূমের ভূমিপুত্র বিজ্ঞানী বিজয় কুমার দাই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct