আপনজন ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মাঝে মধ্যে মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন পোড়ানোর মত জগণ্য ঘটনা ঘটে। মুসলিমরা বিশ্বজুড়ে এর প্রতিবাদ করেন। বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রধানমন্ত্রীও এরকম ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করেন। বিভিন্ন সংস্থ্যার পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ করা হয়। কিন্তু এমন বর্বর কাণ্ড বন্ধ হয়নি। সম্প্রতি সুইডেন ও জার্মিনিতে এমন কাণ্ড ঘড়ে। মুসলিমদের কাছে জীবনের চেয়েও দামি এই পবিত্র গ্রন্থের মর্যাদা রক্ষা করা। তবে তারা কখনো অন্য ধর্মের পবিত্র গ্রন্থে আগুন দেয়নি। দিতে পারে না। কারণ মুসলমান মানেই অন্য ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থকে সম্মান করা। এবার এমননি ঘটনার স্বাক্ষী হলো বিশ্ববাস। জানা যায়, সিরিয়ান এক সুইডিশ অ্যাক্টিভিস্ট সুইডেনের আদালত থেকে স্টকহোমে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি নেন। কিন্তু শেষমেশ তিনি এসব গ্রন্থ পোড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের। আহমেত আল্লুস নামে ওই ব্যক্তি শনিবার সাংবাদিকদের দূতাবাসের সামনে বলেন, পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো উচিৎ নয়- এ বার্তা দিতে তিনি তোরাহ ও বাইবেল পোড়ানোর অনুমতি নেন। তিনি বলেছেন, আমি একজন মুসলিম এবং আমি পবিত্র ও ধর্মীয় বই পোড়াতে পারি না। এ সময় আহমেত ব্যাখ্যা করেন যে তার উদ্দেশ্য ছিল নর্ডিক দেশে যারা কোরআনের মতো পবিত্র বই পুড়িয়ে দেয় তাদের নিন্দা করা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct