নাজমুস সাহাদাত, মোথাবাড়ি, আপনজন: মালদহের মোথাবাড়ি গঙ্গা নদী তীরবর্তী এক প্রত্যন্ত এলাকা বাঙ্গীটোলা অঞ্চলের সাদিপুর গ্রামের মেধাবী ছাত্র সামিম আকতার। তার বাবা একজন পেশায় শিয়ালদহ জিআরপি পুলিশকর্মী সেখ সারিফুল। তার মা এলাকার সুপরিচিত একজন সমাজসেবী মুখ মিরা বিবি। সামিমের দাদা আহমেদ রাজা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ রায়গঞ্জ শহরে কর্মরত। তার একমাত্র ছোট বোন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। সামিম আকতার ছোট বেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি বাঙ্গীটোলা হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক দিয়ে স্কুলের মধ্যে চমক করা ফলাফল করে এবং উচ্চমাধ্যমিকে স্কুলের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ২য় স্থান অধিকার করেন। মালদা কলেজ থেকে ইংরেজি অনার্স নিয়ে পড়াশোনা করে গ্রাজুয়েশন পাশ করার পর চলে যান দিল্লিতে। সেখানে ২ বছর ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন অর্থাৎ (UPSC) কোচিং নেওয়ার পর পরীক্ষা সর্বভারতীয় ফলাফল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সামিম। সারা ভারতে ৮১তম স্থান হয়েছে ও রাজ্যে ২য় স্থান পেয়েছেন তিনি। সফলতার উদাহরণ দিয়ে উপদেশ মূলক বার্তা দিলেন সামিম আকতার। সামিম আকতার বললেন, আমরা বেশিরভাগ সময় উচ্চমাধ্যমিক দেওয়ার পর গ্রাজুয়েশন করে ডি.এড. ও বি.এড করে প্রাইমারি, এসএসসি এইসবেই আমরা সীমাবদ্ধ। আমি যখন ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রস্তুতি নিতে দিল্লি যায় তখন দেখি বাঙালি ছেলেমেয়ের সংখ্যা খুবই কম বললেই চলে। আমাদের বড় স্বপ্ন দেখা উচিত, স্বপ্ন বাস্তবে পূরণ। তিনি আরও বলেন, আমি গ্রামের ছেলে। আকাশ সমান স্বপ্ন দেখে দিল্লিতে রওনা হই। খুব কষ্ট করে দৈনিক ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পড়াশুনা করে আজ এই সফলতা অর্জন করেছি। কিছুদিন পর চেন্নাইয়ে ট্রেনিং হবে। তারপর ভারতীয় লেফটেন্যান্ট সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হব। আমার সফলতার পিছনে থাকা কারণ গুলোকে ব্যাখ্যা করে সবাইকে উপদেশ দেই স্বপ্ন যদি বড় হয় পরিশ্রম অক্লান্ত করতে হয় এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস নিয়ে পরিশ্রম করলে একদিন সফল হবেই। তাই বড় স্বপ্ন দেখো, অক্লান্ত পরিশ্রম করো, এবং যারা পরিশ্রম করছে তাদেরকে সৎ উপদেশ দিয়ে মানসিক শক্তি প্রদান করে সঙ্গ দাও। সফলতা আসবেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct