মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: স্কুলের সঙ্গে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতি জড়িয়ে আছে। যেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন রামতনু লাহিড়ী। স্কুলে বর্ধমান রাজ পরিবার এমনকি মহারাজারা পড়াশোনা করেছিলেন। পড়াশোনা করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী রাসবিহারী ঘোষ, যতীন্দ্র নাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বটুকেশ্বর দত্ত,অভিনেতা কমল মিত্র, হিন্দু ধর্ম গুরু দামোদর দাস কাঠিয়া বাবা, এমনকি পাথরচাপুরির দাতাবাবা এই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন । ১৪ই জুলাই স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের এসডিও নর্থ তীর্থঙ্কর বিশ্বাস, এসডিও সাউথ কৃষ্ণেন্দু মন্ডল, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক তথা স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র খোকন দাস , বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী তথা শিক্ষক ডক্টর দেবেশ ঠাকুর, স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র বিশিষ্ট শিল্পপতি লালবাবা রাইসের কর্ণধর সনৎ নন্দী, ডি এন দাস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ডক্টর সুভাষচন্দ্র দত্ত, বর্ধমান আল আমিন মিশনের প্রধান শিক্ষক তথা স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ফারুক আহমেদ, কাউন্সিলর ডঃ ইন্তেখাব আলম, সাংবাদিক মোল্লা শফিকুল ইসলাম সহ অনেক বিশিষ্ট অতিথিরা। ২০০ বছরের বেশি প্রাচীন এই স্কুলকে কেন্দ্র সরকার হেরিটেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এখনো পর্যন্ত কোনো আর্থিক সাহায্য বা অনুদান দেননি। স্কুলের অনেকাংশ ভেঙে পড়ছে। স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র তথা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস স্কুলকে ১০ লক্ষ টাকার অনুদানের প্রতিস্রুতি দেন। স্কুলের সভাপতি স্থানীয় কাউন্সিলর তথা স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র শাহাবুদ্দিন খান ও প্রধান শিক্ষক সুব্রত মিশ্র পরিচালনায় সমগ্র অনুষ্ঠানটি সাফল্যমন্ডিত হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct