আপনজন ডেস্ক: সন্তানের শৈশবের কথাবার্তার সঙ্গে কৈশোরের আচরণ মিলবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই পরিবর্তন ইতিবাচক না হলে মুশকিল। শিশুসুলভ আচরণ যদি হঠাৎ পরিবর্তিত হয়ে খারাপ আচরণে পরিণত হয় তাহলে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। বয়ঃসন্ধির সময়ে শুধু শরীরে নয়, কিশোর-কিশোরীদের মনেও আসে নানা পরিবর্তন। সেই পরিবর্তনের প্রতিফলন বড়দের অসম্মান করা হতে পারে না। সন্তান যদি কথায় কথায় মেজাজ দেখায়, একেবারেই কথা না শুনে, বোঝাতে গেলেও সমানে তর্ক করে তাহলে বাবা-মায়ের মেজাজ ঠিক রাখা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তখন তারাও সন্তানদের বকাঝকা করেন। এতে পরিস্থিতি অনেক সময়ে হাতের বাইরে চলে যায়। বকুনি দেওয়া কিংবা মারধরে কোনও সমাধান মেলে। ববং এক্ষেত্রে কিছু কৌশল অনুসরণ করতে পারেন। প্রথমেই রাগারাগি না করে সন্তানের এই ধরনের আচরণের কারণ খোঁজার চেষ্টা করুন। অনেক সময়ে শিশুরা তাদের মনের কথা সঠিকভাবে বুঝিয়ে বলতে পারে না। তার অসহায়ত্ব বিভিন্ন নেতিবাচক আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ করে। আপনার সন্তানও এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে কি না, কথা বলে বোঝার চেষ্টা করুন। বয়স উপযোগী নয়, কিন্তু সন্তান যদি এ ধরনের কথা বলে বা আচরণ করে তা হলে তাকে সেখানেই থামান। অনেক সময়ে তারা শব্দের অর্থ না বুঝেই অনেক কিছু বলে ফেলে । ফলে সে ধরনের শব্দের পরিবের্তে নতুন কোনও শব্দ শেখান, যেগুলি শিশু বুঝতে পারে। ভালো ব্যবহার করার একটা আলাদা আনন্দ রয়েছে। সন্তানকে সেটা বোঝান। রেগে গেলেও নিজেকে কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে সন্তানকে তা শেখানো জরুরি। সন্তান যদি আপনার কথা শুনে তাহলে তার প্রশংসা করতে ভুলবেন না। সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হওয়া জরুরি। সব সময়ে তার খুঁত ধরবেন না। এতে শিশুর মনে ক্ষোভ জমা হতে থাকে। তাই এবার থেকে সাবধান হোন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct