নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: এ যেন মগের মুলুক।পঞ্চায়েত ভোটে হেরে গিয়ে নিজের বুথের বাসিন্দাদের যাওয়া-আসা করার সরকারি অর্থে নির্মিত রাস্তা গায়ের জোরে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের হেরে যাওয়া প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে।যদিও প্রাক্তন প্রধান এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। উদ্দেশ্য,গ্রামবাসীরা যেমন তাকে হারিয়েছে,তাই গ্রামবাসীদেরও আর সরকারি রাস্তায় চলাচল করতে দেবেন না। বাঁশের আগল দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন শাসকদলের প্রাক্তন প্রধানের পরিবার ও কর্মীরা। আর এই রাস্তা বন্ধে উস্কানি দিয়েছেন ওই বুথেরই শাসকদলের হেরে যাওয়া প্রার্থী তথা ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বলে অভিযোগ।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর মুকুন্দপুর গ্রামে। অভিযোগ,ওই বুথে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের প্রার্থী হয়েছিলেন কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান রেজাউল করিম।তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন সিপিএম এর প্রার্থী রাকিব আলী। আর রাকিব আলি ৫৭ ভোটে ওই বুথ থেকে জয়ী হয়েছেন।আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে তাণ্ডব বলে অভিযোগ এলাকার সিপিএম এবং কংগ্রেস সমর্থকদের।গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে,ওই গ্রামের একটি কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা রেজাউল করিম প্রধান থাকার সময় তৈরি করে ছিলেন।রাস্তা তৈরি করতে জায়গা দিয়েছিলেন গ্রামের বাসিন্দারাই।কিন্তু প্রাক্তন প্রধান ভোটের হেরে যাওয়ার পর থেকেই তার অনুগামী ও পরিবারের লোকেরা ওই রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষকে চলাচল করতে দিচ্ছেন না।তারা বাসের আগল দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন।এমনকি এই ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে জানালেও কোন কাজ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।জয়ী সিপিআইএম প্রার্থী রাকিব আলি বলেন ‘প্রাক্তন প্রধান রেজাউল করিম নিজের হার মেনে নিতে পারছেন না। বলেই পরিবারের লোক ও কর্মীদের উস্কে এই ধরনের কাজ করেছেন।জনসাধারণের ব্যবহার্য রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন।এলাকার মানুষের যাতাযাত করতে খুব কষ্ট হচ্ছে।স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি।’প্রাক্তন প্রধান তথা পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী বলেন’তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন।কে বা কারা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে,সে কিছুই জানেন না।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct